বাংলায় নতুন ঘোষণায় বাড়লো ভাতা, উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প, যা প্রতিমাসে সাধারণ মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা এবং তপশিলি ও উপজাতি মহিলাদের জন্য ১২০০ টাকা ভাতা প্রদান করে। এর পাশাপাশি, ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা প্রত্যন্ত এলাকায় সহজলভ্য করে তোলা হয়েছে। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন ঘোষণায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য আরও বড় সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে।
১০০০ টাকার বদলে ১৮০০ টাকা পেনশন
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘জয় জোহার’ পেনশন প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে এতদিন আদিবাসী পেনশন গ্রাহকরা মাসিক ১০০০ টাকা পেতেন, তা এবার বাড়িয়ে ১৮০০ টাকা করা হবে। এই পদক্ষেপ আদিবাসী জনগণের আর্থিক স্থিতি উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৩১০টি নতুন হস্টেল তৈরি
আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে রাজ্য সরকার ৩১০টি নতুন হস্টেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের বসবাসের সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং তাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু উন্নয়ন নয়, তা যেন মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে।”
উন্নয়নমূলক বাজেট বৃদ্ধি
মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন যে, আদিবাসী উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হবে। বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিউ টাউনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি আদিবাসী উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে আরও কার্যকর ও সম্প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
উন্নয়নের নতুন দিগন্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নতুন ঘোষণাগুলি আদিবাসী জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। শিক্ষা, আর্থিক সহায়তা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আরও শক্তিশালী হবে। এই পদক্ষেপগুলি কেবলমাত্র উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাই নয়, বরং একটি ন্যায্য সমাজ গঠনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।