টোটো (Toto) নিয়ে বিতর্ক দিন দিন তীব্র হচ্ছে, এবার কড়া প্রশাসন!
টোটো (Toto) নিয়ে বিতর্ক দিন দিন তীব্র হচ্ছে। রাস্তায় নেমেই টোটোর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। অটো ও রিকশার পাশাপাশি টোটোর সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে, যা শহরের যানজটের মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে ব্যস্ত রাস্তাগুলোতে টোটো চলাচলের কারণে যানজটের সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। টোটো চালকরা নিয়ম ভেঙে হাইওয়েতে উঠে পড়ায় দুর্ঘটনার ঘটনাও বেড়েছে। এ কারণে প্রশাসন টোটো নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টোটো চলাচল সীমিত করা হয়েছে, কোথাও কোথাও টোটো পরিষেবা বন্ধও করা হয়েছে। তবে টোটো চালিয়েই বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকেই ঋণ নিয়ে টোটো কিনেছেন, হঠাৎ টোটো বন্ধ হলে তাদের জীবিকা সংকটে পড়বে। তাই টোটো চালানোর ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন আনার জন্য প্রশাসন বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি টোটো চলাচল করে। এর বেশিরভাগই ব্যস্ত রাস্তায় চলাচল করায় প্রতিদিনই যানজটের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এবং অভিযোগ জমা পড়ছে। পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী সম্প্রতি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী চান না কোনো টোটো চালক তার জীবিকা হারাক। তবে শহরের ব্যস্ত রাস্তা যানজট মুক্ত রাখা প্রয়োজন। তাই টোটো চালকদের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করা হবে, যাতে পুলিশ, প্রশাসন, পুরসভা ও পঞ্চায়েত সবাইকে নিয়ে কাজ করা যায়।
পরিবহন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে টোটোর নির্দিষ্ট কোনো রুট নেই, এবং পারমিটেরও প্রয়োজন হয় না। তবে ব্যস্ত রাস্তায় একসঙ্গে অনেক টোটো চলাচল করলে যানজট হয়, যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।