Cyclone Update: কি জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর? ঘূর্ণিঝড় এখন কোথায়?
আবহাওয়ার ভূমিকাঃ
আবহাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আমাদের চারপাশের আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলো নির্ধারণ করে আমরা কীভাবে আমাদের দিনগুলো পরিকল্পনা করব।
জীবনেই নয়, অর্থনীতি, কৃষি, পরিবহন এবং স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে।
আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানঃ
আবহাওয়া মূলত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর চাপ, বৃষ্টি, এবং বায়ুর গতি দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই উপাদানগুলোর সমন্বয় আমাদের চারপাশের আবহাওয়াকে নির্ধারণ করে। বিভিন্ন মৌসুমে এই উপাদানগুলোর পরিবর্তন আমাদের জীবনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
আবহাওয়ার প্রভাবঃ
কৃষিতে প্রভাব।
কৃষির জন্য আবহাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে বৃষ্টি, সূর্যের আলো এবং তাপমাত্রা ফসলের বৃদ্ধি নির্ধারণ করে।
কোনো মৌসুমে খরা বা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যার ফলে খাদ্যের অভাব হতে পারে।
অর্থনীতিতে প্রভাব।
আবহাওয়াঃ
অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে, যেমন- পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া বা কর্মীরা কাজে আসতে না পারা। এছাড়া পর্যটন শিল্পেও আবহাওয়ার প্রভাব উল্লেখযোগ্য।
ভালো আবহাওয়া পর্যটকদের আকর্ষণ করে এবং খারাপ আবহাওয়া তাদের নিরুৎসাহিত করে।
অন্যদিকে, গ্রীষ্মকালে হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের গুরুত্বঃ
আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমাদেরকে সম্ভাব্য ঝড়, বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আগাম সতর্ক করে, যাতে আমরা প্রস্তুতি নিতে পারি। এটি কৃষক, মৎস্যজীবী, এবং অন্যান্য পেশার মানুষের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আবহাওয়া শুধুমাত্র আমাদের জীবনযাত্রার একটি অংশ নয়, এটি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহাওয়ার পরিবর্তন আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে এবং আমরা এর সাথে খাপ খাইয়ে নিই। তাই আবহাওয়ার উপর নজর রাখা এবং এর পূর্বাভাস গ্রহণ করা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রিমাল ঘূর্ণিঝড় সাগরের মধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আস্তে স্থলভাগের দিকে। ঘূর্ণিঝড় প্রবল আকার নিতে চলেছে, রবিবার মধ্যরাতেই স্থলভাগে আছড়ে পরার কথা বলেছিলেন আবহাওয়া দফতর থেকে। মধ্যরাতে নয় তার আগেই হয়তো ল্যান্ডফল হবে। রেমালের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়বে। গতি থাকবে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও নাকি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইবে।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে তান্ডব লীলা চালাবে এই ঘূর্ণিঝড় সাগর থেকে যতই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসবে ততই শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
শুধু সুন্দরবন অঞ্চলে নয়, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে কলকাতা উত্তর এর সাথে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলী। এই সমস্ত অঞ্চলের লাল সর্তকতা জারি রয়েছে। এই জেলাগুলিতে শুধু রবিবার নয় সোমবারে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সোমবার প্রবল ভারী বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপেই এই ভারীর সাথে অতি ভারী বৃষ্টি তা সত্যি কলকাতাবাসীর জন্য বেশ চিন্তা। তার কারণ, যেখানে অল্প বৃষ্টি হলেই কলকাতায় হাঁটু সমান জল জমে যায়।
সেখানে যদি এত বৃষ্টি হয় কলকাতাবাসীর সমস্যা হবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে কলকাতার পুরসভা। এছাড়া যদি ঝড় বৃষ্টির কারণে গাছ ভেঙে পড়ে তাই সতর্ক রয়েছে পুরসভার কর্মীরা।
উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ঘূর্ণিঝড় এর কারণে বৃষ্টি হবে ঘন্টায় প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সাথে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। আবার নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে ঝোড়ো হাওয়া বইবে একটু কম গতিবেগ থাকবে।
এবার উত্তরবঙ্গে সোমবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেক অংশ বাড়বে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
রবিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে মুখ ভার। সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে হচ্ছে দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে কলকাতার শহরেও। কলকাতার সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে।