সাধন মণ্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাঁকুড়াঃ আজ খাতড়া সিধু কানু স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষোলটি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ষোলোটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যে বত্রিশটি প্রকল্পের শিলা ন্যাস ও উদ্বোধন হলো তার আনুমানিক ব্যয় একশ তিপ্পান্ন কোটি টাকা এই মঞ্চ থেকেই এক হাজার দুশো জনকে বিভিন্ন প্রকল্পে উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদান করা হলো। তার মধ্যে একুশ জন উপভোক্তার হাতে পরিষেবা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে বিরসা মুন্ডার জন্ম দিন পর্যন্ত অর্থাৎ তিরিশে জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা হাজির হবেন উপভোক্তাদের দুয়ারে দুয়ারে । সাধারণ মানুষ যাতে কোন সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন প্রকল্প দুয়ারে দুয়ারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সমস্ত প্রধান দের উদ্দেশে বলেন সরকারি পরিষেবা পেতে মানুষকে যাতে হয়রানি হতে না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শংসাপত্র পেতে যাতে কোনো হয়রানি না হয় তা দেখতে হবে। পরিবারের যে কোনো একজনের শংসাপত্র থাকলেই সাত দিনের মধ্যে দরখাস্তকারী কে শংসাপত্র দিতে হবে।
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন যেমন শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী,, বার্ধক্য ভাতা, থেকে আরম্ভ করে নানান প্রকল্প সরকার দিয়ে চলেছেন। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই মহামারী পরিস্থিতিতেও কোনরকম সরকারি কর্মচারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন কাটেনি। অন্যান্য রাজ্যে ত্রিশ শতাংশ বেতন কাটা হচ্ছে বলে বলেন তিনি।। ভারতবর্ষে একমাত্র রাজ্য যেখানে কোন কর্মচারীর এক পয়সা বেতন কাটা হয়নি। রাজ্যের মানুষকে এত সুবিধা একমাত্র আমরাই দিতে পেরেছি দিয়ে যাচ্ছি যা অন্য কোন রাজ্যে নেই। ঊনত্রিশ ত্রিশ টাকায় চাল কিনে বিনা পয়সায় দিচ্ছি আবার এই বিনা পয়সায় রেশনে চাল দেওয়া চলতেই থাকবে। রাজ্যের ৭০ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী পায় বলে তিনি জানান। বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ভূয়শী প্রশংসা করেন আর সেইজন্যই বাঁকুড়াতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২১ সাল থেকে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনেরাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করছে, এছাড়া বাউরী সমাজ উন্নয়নের জন্য একটি বোর্ড গঠন করেন যার চেয়ারম্যান হলেন দেবদাস দাস। এর জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাউরী সমাজের উন্নয়নে এ টাকা খরচ করা হবে।আগামী দু বছরের মধ্যে রাজ্যের একশ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সরকারের বঞ্চণার কথাও তিনি তুলে ধরেন। আজকের মঞ্চে পুরোহিত ভাতা এক হাজার থেকে বাড়িয়ে দু হাজার টাকা করা হলো, তিনি মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের কাজে জোর দিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের দু’লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী যুবতীকে কোপারেটিভ ব্যাংক থেকে লোন দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হল কর্মই ধর্ম। উল্লেখ্য আজকের সভায় উপস্থিত প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রাণী মিত্ররা তাদের সাম্মানিকের দাবিতে সরব হন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দেন সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন আগামী দিনে মাসিক একটা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। উপস্হিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে বাঁকুড়রার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন। আগামীকাল বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি।