ভারতের প্রত্যেকটি জায়গাতে 5g পরিষেবা শুরু করেছে রিলায়েন্স জিও ও এয়ারটেল। ভারতের বড় শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই 5G জোর কদমে চালু হয়েছে।গ্রাহকরা এখনো পর্যন্ত জানেন না, কোন জায়গায় গেলে ৫জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে ও কোন জায়গায় গেলে ৪জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
সেই জন্য অনেক সময় সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এবার এই সমস্যার সমাধানের জন্য টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া শীঘ্রই এই টেলিকম কোম্পানিগুলির জন্য একটা নতুন নির্দেশিকা জারি করতে পারে।
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাই খুব শীঘ্রই ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলিকে গ্রাহকদের জন্য ৪জি ও ৫জি কভারেজ মানচিত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দিতে পারে। Trai এপ্রিল-মে ২০২৪ এ পরিষেবার গুণমান উন্নত করার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলে খবর। এর জন্য গ্রাহকদের বিষয়টা আরো বেশি স্বচ্ছ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রাহকদের বুঝতে হবে, তাঁরা শহরের কোন অংশে কী ধরনের নেটওয়ার্ক কভারেজ পেতে পাবেন।TRAI-এর এই নির্দেশ টেলিকম অপারেটরদের আরও জবাবদিহি করতে অনুপ্রাণিত করবে। এটি গ্রাহকদের জন্য বিষয়গুলিকে স্বচ্ছ করবে।
এছাড়াও, TRAI-এর নির্দেশিকা টেলিকম সংস্থাগুলিকে যখনই কোনও সাইট ডাউন থাকে তখন রিপোর্ট করতে বলতে পারে কারণ এটি সেই নির্দিষ্ট এলাকায় নেটওয়ার্ককে প্রভাবিত করে।
সারা দেশে ৪ লাখেরও বেশি 5G BTS মোতায়েন আছে। তার মধ্যে যদি একটি বিটিএসও বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও কিন্তু টেলিকম কোম্পানিগুলিকে রিপোর্ট করতে হবে।
কল ড্রপও ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদাহরণ রয়েছে যখন একজন ব্যবহারকারী একটি কল তোলেন কিন্তু অপর প্রান্তের ব্যক্তির ভয়েস শুনতে অক্ষম হন।শেষ পর্যন্ত, ব্যবহারকারীর কলটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।
TRAI চাইছে যাতে কল ড্রপের সমস্যা সম্পূর্ণভাবে দূর করা যায়, আর যাতে ব্যবহারকারীদের কোনো রকম কোনো সমস্যায় পরতে না হয়। রাজ্য বা জেলা স্তরে ন্যূনতম QoS পূরণ না করার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে জরিমানা করা উচিত কিনা, TRAI সিদ্ধান্ত নেবেন।