অর্ধেক সময় অতিবাহিত ডিসেম্বর – ২০২৩। কয়েকদিন পরেই আসছে বড়দিন। এই সময় থেকে অনেকে ইংরেজি নববর্ষ পর্যন্ত অনেক প্ল্যান করে থেকে। যেমন কেউ ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানও করেন।
ঘুরতে যাওয়ার কথা উঠলে, বাঙালির কাছেপিঠের গন্তব্য হচ্ছে দীঘা (Digha)। ঝাউবনের মৃদু বাতাসে উনুন জ্বালিয়ে বনভোজন করতেও বেছে নেন সেই দীঘাকে। অনেকেই রয়েছেন ভোজনরসিক, যারা সামুদ্রিক মাছ এবং কাঁকড়ার রসনাতৃপ্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন সমুদ্র সৈকতে।
উদ্দেশ্য যাই হোক, দীঘা সমুদ্র সৈকত বাঙালির মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। দীঘায় রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম। এই সমুদ্র সৈকতের ফাঁকা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যোদয় অথবা সূর্যাস্ত বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্য। আবার সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ এবং কাঁকড়ার খুচরো স্টল।
এবছর বড়দিনে দীঘার সমুদ্র সৈকতে দারুন ভিড় জমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবছর দীঘার সমুদ্র দইকোর্টে আরো বেশি করে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে দীঘা এবং শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সম্প্রতি, দীঘা সৈকতের সৌন্দর্য রূপায়ণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থা। এবার তারা যা পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সুবিধা পাবেন দীঘা যাওয়ার প্ল্যান করা হাজারো পর্যটক। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই দীঘা সৈকতে অনেক খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে।
জানা গেছে, বড়দিনের আগেই দীঘা সৈকতে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে চলছে দীঘা এবং শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কিন্তু দোকান ভাঙা বা কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে তারা এই কাজটি করতে চায়। সেই কারণে আগেই ঘোষণা হয়েছিল। সেই মোতাবেক যারা আবেদন করেছেন, শুধুমাত্র তারাই হকারি করবেন সৈকতে। সৈকতকে ফাঁকা করতে বাকিদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।