নজিরবিহীন এবং তীব্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে। হামলার প্রত্যুত্তরে গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা এবং অবরোধের ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এই অবস্থায় সোমবার ৫ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এই সময় গাজার সাথে মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়া হবে। যুদ্ধবিরতির সময়ে মিশর সীমান্ত দিয়ে গাজায় থাকা বিদেশিরা বের হতে পারবেন, গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো যাবে।
টানা দশ দিন সেখানে অবিরাম আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ধসে পড়েছে শত শত বাড়ি এবং ভবন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অনেকে। হাসপাতালে লাশের সারি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে লাখ লাখ মানুষ। চিকিৎসাসামগ্রীর সংকট। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, ফুরিয়ে আসছে খাবার। ২২ লাখ মানুষের নগরী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এই পরিস্থিতি।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালগুলোতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। তাতে করে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে হাজার হাজার রোগীর জীবন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ জ্বালানির মজুদ আছে, আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা কাজ চলতে পারে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় তার ওয়েবসাইটে বলেছে, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাকআপ জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে গাজার হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
গাজায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলায় অন্তত দুই হাজার ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় আহতের সংখ্যা নয় হাজার ২০০। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। সাথে ১২০ জনের বেশি ইসরায়েলি নাগরিক হামাসের হাতে ধরা রয়েছে বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখপাত্র টাল হাইনরিক।
ছবিঃ সংগৃহীত।