বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলা ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। চাঁদপুর প্রথম ব্র্যান্ড জেলা হিসেবেও স্বীকৃতি পায়। নামকরণও করা হয় ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে। ইলিশের বাড়ি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে রোজ শত শত মানুষ চাঁদপুর ইলিশ ঘাটে উপস্থিত হন।
প্রথমেই ক্রেতারা দুশ্চিন্তায় পড়েন আসল ইলিশ চিনতে গিয়ে। অনেকেই না চিনে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের বদলে কিনে নেন দক্ষিণাঞ্চল বা সাগরের ইলিশ। এর ফলে নদীর ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন।
বাজারে ক্রেতারা প্রথমেই খোঁজেন চাঁদপুরের পদ্মা নদীর ইলিশ। এই অঞ্চলের মিঠা জলের ইলিশের স্বাদ অনন্য।
তবে বাজারের সমুদ্রের হিমায়িত ইলিশ আর নদীর টাটকা ইলিশ অনেকেই চিনতে পারেন না। জেনে নিন নদীর তাজা এবং আসল ইলিশ চেনার উপায়। সমুদ্রের হিমায়িত ইলিশ আর নদী থেকে পাওয়া নদীর তাজা এবং আসল ইলিশ চেনার কিছু উপায় রয়েছে।
কিভাবে চিনবেন তাজা এবং টাটকা ইলিশ?
রূপালি রং হবেঃ
নদীর টাটকা ইলিশ পদ্মা এবং মেঘনার ইলিশের রং উজ্জ্বল রূপালি। অপরদিকে হিমায়িত সমুদ্রের ইলিশের রং অনুজ্জ্বল ও ফ্যাকাশে দেখতে হবে।
স্বচ্ছ থাকবে চোখঃ
একদম টাটকা ইলিশের চোখ থাকবে স্বচ্ছ এবং উজ্জ্বল। হিমঘরে রাখা ইলিশের চোখ ভেতরের দিকে ঢুকে থাকবে, ঘোলাটে হয়।
গোলাকৃতির থাকবেঃ
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ পাওয়া যায় তা হয় অনেকটা গোলা আকারে। মাছের পেটের অংশ হয় মোটা এবং চওড়া। সমুদ্রের ইলিশের পেটের দিকটা সরু থাকে।
টকটকে লাল রংয়ের কানকোঃ
আপনি ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কানকো ভালো করে দেখে নেবেন। আর টাটকা ইলিশের কানকো হয় টকটকে লাল রংয়ের। হিমায়িত ইলিশ হলে কানকো হবে বাদামি অথবা কালচে রংয়ের।
শক্ত থাকবে ইলিশঃ
মনে রাখবেন টাটকা ইলিশ শক্ত হয়। বহু সময় বাজারে দেখা যায়, ইলিশ মাছ বাঁকা হয়ে থাকে। মনে রাখবেন এটাই হলো সদ্য ধরা ইলিশের বড় চেনার উপায়।
আপনি টাটকা ইলিশ হাত দিয়ে উঁচু করে ধরলেও আকারের কোন রকম পরিবর্তন দেখতে পাবেন না। অপরদিকে হিমায়িত ইলিশ নরম হয়ে থাকে। আপনি যখন হাতে দিয়ে পেটের কাছে ধরবেন, ইলিশের মাথা এবং লেজা নিচের দিকে হেলে যাবে।
ছবিঃ সংগৃহীত।