নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ইংরেজবাজার পুরসভার অন্তর্গত ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থা নেই। এখনো বৃষ্টির জমা জলে বন্দিদশা অবস্থা বাসিন্দাদের। গত সপ্তাহের শনিবারের একটানা বৃষ্টির পর পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা থেকে বৃষ্টির জমা জল নিকাশি হয়নি বলে অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। জমা জলের কারণে যেমন বাড়ছে পোকামাকড়ের উপদ্রব। তেমনি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এমনকি অনেক এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে জলবন্দী দশার জন্য ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে আনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপুকুর, জগন্নাথপুর , ডকপুকুর ,কুলদীপ মিশ্রো কলোনি, নরসিংকুপ্পা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কোন নিকাশি ব্যবস্থা আজও গড়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ। যার ফলে চরম বৃষ্টির জেরে এখন জলবন্দি হয়েই থাকতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের। ওই সব এলাকার অধিকাংশ নিকাশির জল বাড়ির সামনেই গর্ত করেই জমা করা হয় এমনই দাবি বাসিন্দাদের। তার ওপর বৃষ্টির জমা জল মিলেমিশে একাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে। কেন এতদিনেও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্থায়ী নিকাশি নালা তৈরি হলো না তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
ডকপুকুর এলাকার একাংশ বাসিন্দাদের বক্তব্য, বারোমাস এই নোংরা জলের মধ্যেই তাদের থাকতে হয়। টানা বৃষ্টিতে রীতিমতো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। রাস্তার ওপরেও নোংরা জল উপচে পড়ছে। স্থায়ী নিকাশী নালা না থাকার জন্য এখন চরম দুর্দশার মুখে পড়তে হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের।
ইংরেজবাজার পুরসভার বিজেপি দলের কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ি জানিয়েছেন, পুরসভার উদাসীনতার কারণেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী নিকাশী ব্যবস্থার সমাধান হয় নি। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেও মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।
ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর সুজিত সাহা জানিয়েছেন, গত পুরো নির্বাচনে আমি প্রথম নির্বাচিত হয়ে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পেয়েছি। এতদিন এখানে বাম – কংগ্রেস দলের কাউন্সিলরেরা রাজত্ব করে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষদের কোন সমস্যার সমাধানই তারা করতে পারেন নি। অথচ ইতিমধ্যে যেসব জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থা ছিল না, তা গড়ে তোলা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এখনো কাজ বাকি আছে। সেটিও দ্রুততার সাথে করা হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির জমা জল পাম্পের মাধ্যমে তা বের করে দেওয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।