কুসুম প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ উর্জা সুরক্ষা ইভম উত্থান মহা অভিযান (পিএম-কুসুম) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশিকায় সংশোধন এবং স্পষ্টতা নিয়ে এসেছে। এই প্রকল্প লাগু হওয়ার প্রথম বছর থেকে সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি প্রধানমন্ত্রী – কুসুম প্রকল্পে অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের তিনটি দিক রয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে মাউন্টেড গ্রিড সংযুক্ত করা। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে স্বতন্ত্র সৌর বিদ্যুৎ চালিত কৃষি পাম্প স্থাপন করা এবং তৃতীয় ক্ষেত্রে গ্রিড সংযুক্ত কৃষি পাম্পের সৌর বিদ্যুতায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রক এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের নির্দেশিকায় বেশ কিছু সংশোধনী ও সুস্পষ্টতা নিয়ে এসে নির্দেশ জারি করেছে।

১) প্রথম ক্ষেত্রের জন্য সংশোধনী ও সুস্পষ্টতা –

আরও পড়ুন -  Arijit Singh: মাথা ঠুকে প্রণাম করে গান গাইলেন অরিজিৎ সিং, দেখুন ভিডিও

প্রথম ক্ষেত্রে গবাদি পশুর চারণ ভূমি এবং জলা ভূমির মালিকানাধীন কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকদের সুবিধার্থে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আকার হ্রাস করা হয়েছে। এমনকি কৃষকদের জরিমানাও দূর করা হয়েছে। অনুর্বর পতিত কৃষিজমি ছাড়াও গবাদি পশুর চারণ ভূমি এবং কৃষকদের জলা ভূমিতেও সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যেতে পারে। রাজ্যগুলি ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তার জন্য ৫০০ কিলোওয়াটের চেয়ে কম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিতে প্রযুক্তিগত – বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে সাহায্য করতে পারে। নির্বাচিত পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ জেনারেটর (আরপিজি)-কে অনুমতি দেওয়ার তারিখ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিস্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ার জন্য আরপিজি-কে কোনো জরিমানা দিতে হবে না।

২) দ্বিতীয় ক্ষেত্রের জন্য সংশোধনী ও সুস্পষ্টতা –

নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক দেশব্যাপী তথ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ (আইইসি) কার্যক্রমের জন্য যোগ্য পরিষেবা মাশুল ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত রাখতে রাখবে। এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে প্রস্তুতিমূলক কাজের ক্ষেত্রে লেটার অফ্ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পরে অনুমদিত কাজের মূল্যের জন্য ৫০ শতাংশ পরিষেবা মাশুল ছাড়তে পারে মন্ত্রক। জল ব্যবহারকারী সমিতি, কৃষি সামগ্রি উৎপাদন সংস্থা, কৃষি ঋণদানকারী সমিতি বা ক্লাস্টার ভিত্তিক সেচ ব্যবস্থাপনার সাহায্যে সৌর পাম্প স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য সিএফএ গোষ্ঠীর প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫ হর্স পাওয়ার থেকে ৭.৫ হর্স পাওয়ার পর্যন্ত সৌর পাম্প ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। কেবলমাত্র সৌর পাম্প ও সৌর প্যানেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য গুণমান সম্পন্ন সৌর পাম্প বসানো এবং পরবর্তী পরিষেবা প্রদানের জন্য নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সৌর পাম্প প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীতে সৌর পাম্প বসানোর বিষয়ে নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার দিকটি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সৌর পাম্পের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ব্যয়বহুল না হয় সেই দিকটির ওপরেও নজর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  "দুঃখের সৌন্দর্য: কবিতার নিরাময় শক্তি অন্বেষণ"

৩) তৃতীয় ক্ষেত্রের জন্য সংশোধনী ও সুস্পষ্টতা –

আইইসি কাজের জন্য ৩৩ শতাংশ পরিষেবা মাশুল ব্যবহার করা যাবে। প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য রূপায়ণকারী সংস্থাগুলিকে পরিষেবা মাশুলের অগ্রিম প্রদানে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে মন্ত্রক আরও জানিয়েছে নতুন ও পনর্নবিকরণ যোগ্য শক্তি মন্ত্রক অনুমদিত কাজের গুণমান বিচার করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পরিষেবা মাশুল প্রদান করতে পারে সংস্থাগুলিকে। কৃষকদের সৌর প্যানেল সরবরাহের বিষয়টিও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। সেচের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে উদ্বৃত্ত সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  FIFA Ranking: ৭ ধাপ এগোলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল, ফিফা র‌্যাংকিংয়ে