বোমা হামলার ঘটনায় তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে মিয়ানমারের হাব মায়াওয়াদি সীমান্ত একটি সরকারি কার্যালয়ে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশ।
সোমবার বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে সামরিক বাহিনী। তারপর থেকেই থাইল্যান্ড সীমান্তে থাকা শহরটিতে সামরিক ও জান্তাবিরোধীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে বলেন, রবিবার সকালের দিকে জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনিক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। তারপরেই নিরপাত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ঠিক তখনই সেখানে আরও দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে করে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন সামরিক কর্মকর্তা, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছে। ওই সূত্র বলছে, আহতদের সবাই পুলিশ কর্মকর্তা। তার মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তাও এই তথ্য স্বীকার করেছেন। কিন্তু গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন।
হামলার বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার থেকে বলা হয়, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কতজন নিহত বা আহত হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি। এই বোমা হামলার জন্য জান্তাবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে (কেএনএলএ) দায়ী করছে সামরিক সরকার।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
তারপর থেকেই বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। জান্তা সরকারের ক্ষমতার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও দেশটির বিশাল এলাকায় কর্তৃত্ব আরোপ করতে পারেনি। বিরোধীদের দমনে বিমান এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করা হচ্ছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়াওয়াদি শহরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী মায়াওয়াদি এবং পিডিএফ। গোটা কারেন প্রদেশ ঘিরে রেখেছে সামরিক বাহিনী। এর জন্য সশস্ত্র সংগঠন দুটির ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য থাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত।