খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জিএসটিএন এবং ই-ওয়ে বিলের পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিজিএসটি-র দক্ষিণ দিল্লী কমিশনারেটের আধিকারিকরা ভুয়ো সংস্থার জিএসটিআইএন-এর ইনভয়েস ও ই-বিল সংক্রান্ত একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছেন।
নতুন দিল্লীর মহিপালপুরের এল১০এ গঙ্গা টাওয়ারের মেসার্স বনগঙ্গা ইমপেক্সের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে౼ (GSTIN 07AAMFB0425A1Z4).
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ই-ওয়ে এবং জিএসটিএন পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে মেসার্স বনগঙ্গা ইমপেক্স অস্তিত্বহীন ৪৮টি সংস্থার ইনভয়েস তৈরি করেছে। এরপরে সেই সংস্থাগুলি থেকে জিনিসপত্রের আদান-প্রদান করা হয়েছে এবং আইটিসি হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্তিম পর্বে সমস্ত সরবরাহকারীর আইটিসি মেসার্স বনগঙ্গা ইমপেক্সের কাছে পৌঁছেছে। এরপর ওই সংস্থা নিবন্ধীকৃত নয় এমন সরবরাহকারীদের থেকে পণ্য রপ্তানীর রিফান্ডের সুবিধা নিয়েছে। ই-ওয়ে বিল তৈরি করার সময় দু-চাকার গাড়ি, বাস, জেসিবি, বেসরকারী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদির নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে।
মেসার্স বনগঙ্গা ইমপেক্স ৬৮৫ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের হিসেব দেখিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার জিএসটি দেখিয়ে সেখান থেকে ৩৫ কোটি টাকা রিফান্ড বাবদ সংগ্রহ করেছে।
এই চক্রে মেসার্স বনগঙ্গা ইমপেক্সের অংশীদার শ্রী রাকেশ শর্মা সবথেকে বেশি উপকৃত হয়েছেন। তাকে ৯ই নভেম্বর গ্রেপ্তার করে সাকেতের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। সূত্র – পিআইবি।