বাংলার অনেক রেলস্টেশন পরিবর্তিত হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে। এর মধ্যে রয়েছে বর্ধমান জংশন স্টেশনও। এই প্রকল্পে নানা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সাথে যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা দিতে সচেষ্ট হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছে বহু পদক্ষেপ। শনিবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সংস্কারের পর বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনের খোলনোলচের আমূল পরিবর্তন হবে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্ধমান স্টেশনে বিস্তীর্ণ ওয়েটিং এরিয়া, অত্যাধুনিক ডিজাইনের বিশাল বড় ওয়েটিং হল এবং টিকিট কাউন্টার, ভালো মানের টেকসই আধুনিক আসবাবপত্র, লিফটের ব্যবস্থা সাথে থাকবে এস্কেলেটর। স্টেশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৬৪.২ কোটি টাকা। এই নতুন স্টেশনে থাকবে পরিবেশ বান্ধব বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে রয়েছে সোলার লাইট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ও প্রচুর গাছ। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই নতুন করে আধুনিক প্রযুক্তিতে বেশ কিছু স্টেশনের ভবন তৈরি করা হয়েছে। এবার এই তালিকায় নথিভুক্ত হলো বর্ধমান স্টেশনের নাম।
স্টেশনের একটি প্লাটফর্ম থেকে অন্য প্লাটফর্মে যাতায়াতের জন্য তৈরি হয়েছে আধুনিক ফুট ব্রিজ। যাত্রীদের সুবিধার জন্য থাকছে চলমান সিঁড়ি ও লিফট। সমস্ত প্লাটফর্মে আধুনিক ডিসপ্লে থাকবে। সমস্ত ট্রেনের প্রতি মুহুর্তের গতিবিধি ফুটে উঠবে। তাতে যাত্রীরা সহজেই বুঝতে পারবেন তাদের কত নম্বর প্লাটফর্মে গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে।
স্টেশনের প্লাটফর্ম হচ্ছে অনেক চওড়া। যাত্রীদের বসার জায়গার মানোন্নয়ন হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিশেষ একটি রাস্তা। থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পুরুষ ও মহিলা যাত্রীদের সুবিদের জন্য আধুনিক শৌচাগার হচ্ছে। রেলের আধুনিক ফুড স্টল থাকতে চলেছে প্রতিটি প্লাটফর্মে। মোটকথা বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম একেবারে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে।