খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ এতদিন পর্যন্ত কাশ্মীরকে বলা হত জাফরান গাছের ভান্ডার। কিন্তু শীঘ্রই এই ভান্ডার ভারতের উত্তরপূর্বে প্রসারিত হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে এই উদ্ভিদের বীজ সিকিমে নিয়ে যওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ইয়াং ইয়াংইয়াংএ এই গাছের ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এতদিন জাফরান উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। ভারতে কাশ্মীরের পাম্পোর অঞ্চল সাধারণত জাফরান ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। কাশ্মীরের বাদগাঁও, শ্রীনগর, কিস্তিওয়ার জেলায় মূলত জাফরানের চাষ হয়ে থাকে। প্রথাগতভাবে কাশ্মীরি খাবারের সঙ্গে জাফরানের ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর ঔষধী গুনও রয়েছে। জাফরান চাষ ব্যবস্থাপনার উন্নতি সাধনে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের আওতাধীন একটি স্বশাসিত সংস্থা। যাতে কাশ্মীরের মতোই উওর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে উচ্চ গুণমানের জাফরান চাষ করা যায় তাই এই সংস্থা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সিকিমে জাফরান চাষে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে । সিকিম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ সিকিমের ইয়াং ইয়াং-এর মাটি ও ভূপ্রকৃতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। এই জাফরান চাষের জন্য কাশ্মীর থেকে বীজ ইয়াং ইয়াং-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিকিমের মাটি, জল, আবহাওয়াতে জাফরান চাষ সম্ভব কিনা তা দেখা হচ্ছে। কাশ্মীরে পাম্পোর এবং সিকিমের ইয়াং ইয়াং-এর মধ্যে জলবায়ু ও ভৌগলিক অবস্থার মিল থাকার ফলে ইয়াং ইয়াং-এ জাফরানের পরীক্ষা মূলক চাষ শুরু হয়েছে। যাতে এই জাফরান চাষ সফলভাবে সম্ভব হয় এবং এর উৎপাদন ও গুণমান বজায় থাকে তারজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।