Saayoni Ghosh: সায়নী-কুন্তল সম্পর্ক নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা!

Published By: Khabar India Online | Published On:

দিনের পর দিন রহস্যময় হয়ে উঠছে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেকেই রয়েছেন জেলে। এই তদন্তে একযোগে নেমে ইডি এবং সিবিআই একের পর এক সূত্র খুঁজে পেয়েছে।

একাধিক সূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) জেরা করে। বনি সেনগুপ্তর (Bony Sengupta) যোগসূত্র খুঁজে পেয়ে তাকে জেরা করে ইডি। এবার ইডির স্ক্যানারে এলেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। সিজিও কমপ্লেক্সে তারা এগারো ঘন্টা ম্যারাথন জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন সায়নী। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেই যে কথা বললেন, তাতে আরো ঘনিয়ে এল রহস্য।

আরও পড়ুন -  " মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়ন মনি হিন্দু তাহার প্রাণ "

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষকে নিয়ে তদন্ত চালাতে গিয়েই সায়নী ঘোষের নাম আসে। এদিন কুন্তল প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে যান সায়নী। ইডি সূত্রে জানা গেছে, সেদিনের জেরায় নাকি কুন্তল ঘোষের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন অভিনেত্রী। এদিন গোয়েন্দাদের চোখে চোখ রেখে সায়নী বলেন, “কুন্তল ঘোষকে চিনতাম তবে তেমন পরিচয় ছিল না। কুন্তল নিজেকে সোশাল ওয়ার্কার বলে পরিচয় দিত। ওর একটা কলেজ আছে বলেছিল। আমার সঙ্গে কুন্তলের কোনওদিন কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি।”

আরও পড়ুন -  Dance Video: হট স্টাইলে নাচলেন এই যুবতী “চিকনি কোমর” গানের তালে, এখন এই ভিডিও দেখে নেটদর্শকরা কি করছেন?

সায়নীকে জেরার আরেকটি অধ্যায়ে এদিন সায়নী নাকি আরো বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি।” একথা শুনে তাকে নাকি ইডি ফের প্রশ্ন করে যে তাহলে সেই ২০ লক্ষ টাকা তাহলে এল কোথা থেকে? কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর কোনও ব্যাংক লেনদেনের তথ্য নিয়ে এখনো অন্ধকারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এখনো এই বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে কুন্তল ঘোষ সায়নীকে ওই ২০ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছিলেন কিনা। ওই ঋণ কিভাবে পরিশোধ হয়েছিল সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন -  Song: বাবুলের সভার মাঝেই বেজে উঠল সেই গান, ‘এই তৃণমূল আর না’

এই বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা এখনো ধোঁয়াশায়। এই ঋণের বিষয়ে নাকি কোনও তথ্য সায়নী শুক্রবার জমা দেননি। সেই কারণেই আগামী বুধবার তাঁকে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়েছে ইডির দপ্তরে।