বৈঠকে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা, মোদী-বাইডেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর ও খনিজ সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি এবং সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয়।

দুই নেতার বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় এসব বিষয় জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে দুই ঘণ্টা একান্ত বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। খবর-বিবিসির।

বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমেরিকা ও ভারতের ‘ডিএনএ’র’ মধ্যে গণতন্ত্র রয়েছে। তিনি ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রশংসা করেছেন।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে ভিন্ন মতাবলম্বী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়নের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেসব অভিযোগ তুলেছে সেটি নিয়ে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়।

আরও পড়ুন -  হলুদ শাড়ি ফিনফিনে তিন সুন্দরীর গায়ে, আগুন এর মতন জ্বলে উঠলেন এই ভাবে

তিনি বলেন, ‘ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রর সম্পর্ক যে জায়গায় অবস্থান করছে, চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি সে রকম নয়। এর মৌলিক কারণ হচ্ছে, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারষ্পরিক শ্রদ্ধা হচ্ছে দুই দেশই গণতান্ত্রিক।’রাষ্ট্রীয় ডিনারের অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘দুটো মহান জাতি, দুটো মহান বন্ধু ও দুটো বড় শক্তি, চিয়ার্স।’ জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আপনি মৃদুভাষী, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে আপনি বেশ দৃঢ়।’

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। মোদী তাঁর নয় বছরের শাসনামলে কখনোই এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেননি।সংবাদ সম্মেলনে একজন ভারতীয় ও একজন আমেরিকান সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন। এই দুটো প্রশ্নই আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। তিনি অনুবাদকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

আরও পড়ুন -  প্রথম দফার নির্বাচনে ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুললেন পুরো ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

যৌথ বিবৃতিতে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসন-ভিত্তিক নীতির মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়।

জাতিসংঘের রীতিনীতি, আন্তর্জাতিক আইন এবং সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে বর্তমান যে বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে সেটাকে সম্মান জানানোর প্রতি জোর দেয় দুই পক্ষই।

মিয়ানমার এবং উত্তর কোরিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে জঙ্গি হামলার ক্ষেত্র হিসেবে যেন ব্যবহার না করা হয় সে বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।

আরও পড়ুন -  Migraine Problems: মাইগ্রেন সমস্যা দূর হবে ৪ টি খাবারে

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়-যুদ্ধের কারণে বিশ্ব যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
অবনতি ঘটতে থাকা মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুই নেতা। নির্বিচারে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দিয়ে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এগিয়ে নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।

আল-কায়েদা, আইসিস, লস্কর-এ-তাইয়েবার মতো জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। আফগানিস্তানকে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল করার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছেন জো বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদী।

বিভিন্ন ধরনের সামরিক এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক জোট কোয়াডকে আরও কার্যকরী করে গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছে দুই পক্ষই।

ছবিঃ সংগৃহীত