ভোট গ্রহণ চলছে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন। রবিবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আলোচনায় এসেছেন ১১২ বছরের এক বৃদ্ধা।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ১১২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা কেন্দ্রে গিয়ে সরাসরি ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই বৃদ্ধা তুরস্কের কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল গুমুশানের সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি। সন্তান এবং নাতিদের সঙ্গে তিনি ভোট কেন্দ্রে যান।
নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তা বলা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনো পাল্লা এরদোগানের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। কারণ অর্থনীতি এবং সংসদীয় ব্যবস্থার ইস্যুর চেয়ে তুরস্কের বড় সংখ্যক মানুষ অখণ্ডতা উন্নয়ন এবং স্থিতির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, কোনো সমস্যা ছাড়াই তুরস্কজুড়ে ভোটগ্রহণ চলছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের লোকেরা তাদের ভোট দিতে সক্ষম হয়েছে।
রবিবার ইস্তাবুলের উসকুদার এলাকায় ভোটদান শেষে তিনি এ কথা বলেন। একই কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন এরদোয়ানের স্ত্রী এমিনি। প্রেসিডেন্ট ভোটকেন্দ্রে আসার আগে থেকেই ওই কেন্দ্রে হাজার হাজার সমর্থক উপস্থিত হন। স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন তারা।
আঙ্কারায় ভোট প্রদান করেছেন কামাল কিলিকদারোগ্লু এবং তার স্ত্রী সেলভি কিলিকদারোগ্লু। বিরোধী ছয় দলের সমন্বয়ে গড়া জোট ‘টেবিল এ্যান্ড সিক্সের’ প্রধান মুখ কামাল কিলিকদারোগ্লু।
ভোটদান শেষে তিনি বলেন, আমরা সবাই গণতন্ত্র মিস করেছি। আজকের পর এদেশে বসন্ত আসবে আর বসন্ত চিরকাল চলবে।
তুরস্কে এবার ৬ কোটিরও বেশি মানুষ ভোট দিচ্ছে। অন্য দেশে বসবাসকারী প্রায় ১৮ লাখ তুর্কি নাগরিক ইতোমধ্যে ৭৩টি দেশে বা সীমান্ত গেটে তাদের ভোট দিয়েছেন।
সূত্রঃ আল জাজিরা। ছবিঃ বিবিসি