কেভিআইসি-র ই-পোর্টাল ক্ষমতায়িত কুম্ভকারদের জীবনে আগেই দীপাবলি নিয়ে এসেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ এই দীপাবলিতে খাদির অনলাইনের মাধ্যমে প্রদীপ বিক্রির ব্যবস্থা ক্ষমতায়িত কুম্ভকারদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে। রাজস্থানের জয়সলমীর ও হনুমানগড় জেলার কুম্ভকাররা এইসব মাটির প্রদীপ তৈরি করেছেন এবং খাদি ইন্ডিয়ার ই-পোর্টালের মাধ্যমে সেগুলি দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গেছে। খাদি ও গ্রামোদ্যোগ শিল্প কমিশন (কেভিআইসি) এ বছরই প্রথমবার অনলাইনের মাধ্যমে প্রদীপ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর স্বপ্ন পূরণের জন্য ৮ই অক্টোবর কেভিআইসি অনলাইনের মাধ্যমে প্রদীপ বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক মাসেরও কম সময়ে ১০ হাজার প্রদীপ বিক্রি হয়েছে। যেদিন থেকে এই ওয়েবসাইটে প্রদীপ বিক্রি শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই এর চাহিদা ছিল তুঙ্গে। ১০ দিনেরও কম সময়ে বেশিরভাগ প্রদীপই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন -  Koda: চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অস্কার, সেরা চলচ্চিত্র ‘কোডা’

কেভিআইসি উৎসাহিত হয়ে আরও নতুন নকশার প্রদীপ অনলাইনে নিয়ে আসে এবং দেখা যায় সেগুলিরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যত দীপাবলির দিন এগিয়ে আসছে এই প্রদীপ বিক্রির পরিমাণও তত বাড়ছে।

কেভিআইসি আট রকমের নকশার প্রদীপ মাত্র ৮৪ টাকা থেকে ১০৮ টাকার একটি সেটের মাধ্যমে বিক্রি করছে। এখানে প্রত্যেকটি সেটে ১২টি করে প্রদীপ থাকছে। কেভিআইসি এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। কেভিআইসি-র কুম্ভকাররা পুরো প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রদীপ বিক্রি করে তাঁরা ২-৩ টাকা রোজগার করতে পারছেন। কেভিআইসি-র এই প্রদীপগুলি অনলাইনে www.khadiindia.gov.in.পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Sonia Gandhi: সোনিয়া গান্ধী, আবার করোনায় আক্রান্ত

প্রদীপ ছাড়াও কেভিআইসি লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি সহ অন্যান্য নানা সুন্দর সুন্দর মাটির জিনিসও দিল্লি সহ সংস্থার বিভিন্ন শহরের দোকানগুলিতে বিক্রি করছে। এই মাটির প্রদীপগুলি বেনারস, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং অন্যান্য রাজ্যের কুম্ভকাররা তৈরি করছেন এবং তাঁরা যথেষ্ট আয় করতে পারছেন। কেভিআইসি-র রাজস্থানের পোখরান, জয়সলমীর, রাওয়াতসারে যে কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেখানে কুম্ভকারদের থেকে প্রদীপ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খাদির বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ১০ হাজারের বেশি প্রদীপ বিক্রি হয়ে গেছে।

সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনা জানিয়েছেন, অনলাইনের মাধ্যমে মাটির এই জিনিসগুলি বিক্রির ফলে কেভিআইসি-র কুম্ভকাররা আরও বেশি ক্ষমতায়িত হচ্ছেন। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে এবং কুম্ভকারদের শিল্প আবারও পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। পোখরানে এরকমই একজন কুম্ভকার মদন লাল প্রজাপতি জানিয়েছেন, এই প্রথমবার তাঁর তৈরি প্রদীপ গ্রামের বাইরে বিক্রি হল।

আরও পড়ুন -  Turkey-Syria earthquake: নিহত ছাড়িয়েছে ৯ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে

কুম্ভার স্বশক্তিকরণ যোজনার আওতায় কেভিআইসি এই কুম্ভকারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং তাঁদের সকলকে বৈদ্যুতিক কুম্ভকার চাক দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, এইসব কারিগরদের উৎপাদন প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত কেভিআইসি ১৮ হাজার বৈদ্যুতিক কুম্ভকার চাক ৮০ হাজার কুম্ভকারের মধ্যে বিতরণ করেছে। সূত্র – পিআইবি।