বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এখন ভারত, চীনকে টপকে। আগামী তিন মাসের মধ্যে চলতি বছরের মাঝামাঝি জনসংখ্যা চীনের চেয়ে প্রায় ২৯ লাখ বেশি হবে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখেরও বেশি। দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা ধরে রাখা চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখের মতো।
১৯৫০ সাল থেকে জাতিসংঘ সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকা তৈরি করছে। এই তালিকায় এবারই প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। ৩৪ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনে গত বছরই জনসংখ্যার নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়েছিলো। আগের বছর ২০২১ সালে তুলনামূলক জন্মহার কম ছিল। জন্ম নেয় মাত্র ১ কোটি ৬০ লাখ শিশু। ওই বছর চীনে মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে সামান্য বেশি।
নারীদের সন্তান জন্ম দেয়ার হার কমে যাওয়াকে দায়ী করা হয়। এর আগে ১৯৬০ সালে তৎকালীন শাসক মাও সেতুংয়ের আমলে চীনের জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল।
ভারতে অবশ্য জনসংখ্যার সাম্প্রতিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। সবশেষ জনশুমারি চালিয়েছিল ২০১১ সালে। এক দশকের মাথায় ২০২১ সালে তাদের আবারও জনশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইউএনএফপিএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের বর্তমান জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বয়সই এখন ০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের নাগরিক জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মানুষের সংখ্যা ২৬ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ৬৫ বছরের ওপরে।
চীনে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে নাগরিকদের সংখ্যা ১৭ শতাংশ, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের নাগরিক জনসংখ্যার ১২ শতাংশ, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মানুষের সংখ্যা ১৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সিদের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ এবং দেশের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ ৬৫ বছরের ওপরে। অর্থাৎ দেশটির ২০ কোটি মানুষ ৬৫ বছর বয়সের ওপর।
রিপোর্ট মতে, ভারতের তুলনায় চীনা নাগরিকদের গড় বয়স অনেকটা বেশি। চীনে গড়ে নারীরা বাঁচেন ৮২ বছর আর পুরুষরা বাঁচেন ৭৬ বছর। ভারতে গড়ে নারীরা বাঁচেন ৭৪ বছর ও পুরুষরা বাঁচেন ৭১ বছর।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত