পহেলা বৈশাখ-১৪৩০

Published By: Khabar India Online | Published On:

পহেলা বৈশাখ-১৪৩০

পহেলা বৈশাখ হলো বাংলার জাতীয় উৎসব এবং সম্প্রদায়ের একটি মহান উৎসব। এই দিনটি সাধারণত বৈশাখ মাসের ১লা দিনে পালিত হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতে পহেলা বৈশাখ উৎসবটি সেলেব্রেট করা হয়।

পহেলা বৈশাখ উৎসবটি একটি সম্পূর্ণ পরিবেশমুখী উৎসব। এই দিনটি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন প্রশংসা ও সম্মান পেয়ে থাকে। এই দিনে সবাই আবহাওয়া মনে করে সুন্দর পোষাক পরে নিকটবর্তী বাজারে যায় এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রদর্শনী ও মেলা থাকে। আর্টস এবং ক্রাফটস প্রদর্শনী ও বাউল সংস্কৃতির মেলা পহেলা বৈশাখে অবহিত থাকে।

এই উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল হালখাতা দিন। এই দিনে সবাই হালখাতা লেখা শুরু করে যেতে পারেন এবং নতুন কার্য শুরু করার পর এটি লিখে রাখতে হয়।

পহেলা বৈশাখের উপর আমাদের সমাজে অনেক ঐতিহ্য ও প্রথা রয়েছে।

আরও পড়ুন -  "আমার প্রিয় মানুষকে বাংলা নববর্ষে উপহার দিতে কি করা যেতে পারে?"

পহেলা বৈশাখ উৎসবের অনেক ধরনের খাবার রয়েছে। সেই মধ্যে পান্থা ভাত, আলু ভর্তা, মিষ্টি দই ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও পহেলা বৈশাখে সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গান এবং নৃত্য প্রদর্শনী হতে থাকে। মাঙ্গল শোভাজাত্রা এবং স্বরসতী পূজা একটি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে আরও কিছু বলতে গেলে বলা যায় যে, এই উৎসবে আমাদের পুরাতন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য একত্রিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর এই দিনে সমাজের মানুষ সমাবেশ হয়ে সেজে উঠে। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা সমাজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বর্ণনা উপহার দিয়ে থাকি।

সমস্ত বাঙালির জন্য একটি গৌরবময় দিন। এই দিনটি একটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন এবং নতুন শুরুর দিন হিসাবে গণ্য হয়। পহেলা বৈশাখে সমাজের মানুষ একসাথে উল্লাস করে প্রচুর খাবার এবং মিষ্টি সহ উদ্যাপন করে।

আরও পড়ুন -  সন্তান নষ্ট করতে চাইছেন না কৃতি শ্যানন, অথচ ঘরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় !

আমরা যেন সবসময় আমাদের উৎসবগুলোকে নির্লিপ্ত রাখি, আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।

আমরা যেন সমস্তকিছু নতুন শুরু করি পহেলা বৈশাখে। 

এই দিনটি প্রতিবছর বৈশাখ মাসের ১ তারিখে উদ্বোধিত হয়। এই উৎসব একটি সাংস্কৃতিক উৎসব হিসাবে গণ্য হয়। এই দিনটি বাঙালি সমাজের জীবনে একটি গৌরবময় সংশ্লিষ্ট দিন।

এই দিনটি মিষ্টি খাওয়ার একটি সুযোগ এবং সমাজের মানুষ সমাবেশ হয়ে সাজে উঠে উত্সব উদ্যাপন করে। পহেলা বৈশাখে সমাজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক বর্ণনা উপহার দিয়ে থাকি।

পহেলা বৈশাখ কেন হয়? 

পহেলা বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিন। এই দিনটি প্রচুর সংখ্যক পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক ঘটনার একটি জুড়ি।

প্রাচীন সময়ে বাঙালি সমাজ লৌকিক উৎসব উদ্বোধন করত। কৃষি ও ব্যবসায়িক কাজ বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সমস্ত লৌকিক কর্মসূচি থামিয়ে দেওয়া হয়। নববর্ষে সমস্ত কর্মসূচি পুনরায় আরম্ভ করা হয়। এছাড়াও প্রাচীন সময়ে নববর্ষের দিনটি চৈত্র মাসের পূর্ণিমার দিন হতো।

আরও পড়ুন -  অবৈধ সম্পর্ক

একটি অন্যতম প্রখ্যাত ঐতিহ্য হল হালখাতা দিয়ে নতুন বছরের স্বাগতমন্ত্রণ।

পহেলা বৈশাখের দিনটি সম্পর্কে বাংলাদেশে একটি বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। দিনটি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক প্রণালী অনুসরণ করা হয়, যেমন রঙ্গামাটি, পাঁচার বাজার, নববর্ষের প্রদর্শনী এবং সংস্কৃতি উৎসব ইত্যাদি।

পহেলা বৈশাখের দিনটি বাঙালি সমাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য খুব বিশেষ। এই দিনে সমস্ত লোকদের উৎসাহ এবং সমর্থন একসাথে থাকে।

পহেলা বৈশাখের দিন সকালে মানুষরা নতুন বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এরপর লোকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিনটি সম্পর্কিত ভিন্ন প্রকার খেলা হয়।