সজল দাশগুপ্ত, মালদহঃ বৃষ্টির জেরে কর্দমাক্ত জাতীয় সড়ক,নাজেহাল অবস্থা চালক ও পথচারীদের।
হালকা-মাঝারি বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কের নির্মিত রাস্তার রূপ নিয়েছে চষা ক্ষেতে।রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়ছেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে এমনই দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেল মালদহের চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের কনুয়া রহমতপুরে। বর্ষা শুরুর আগেই রাস্তার কাজ অসম্পন্ন থাকায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, সড়ক পথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বছর দুয়েক আগে মালদহের চাঁচল-হরিশ্চন্দ্রপুর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়।ধীর গতিতে চলছে রাস্তার কাজ বলে অভিযোগ।অসম্পূর্ণ রাস্তার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে একাধিকবার পথ অবরোধ ও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রহমতপুর কনুয়া এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সেই রাস্তার কাজ আজও অসম্পূর্ণ। বর্ষা আসার আগেই রাস্তা যেন রূপ নিয়েছে চষা ক্ষেতে। সেই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে দুর্ভোগে পড়ছেন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
মোটরবাইক ও চার চাকার যানবাহন ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন চালকেরা। জল কাদায় আটকে যাচ্ছে বাইকের চাকা।ঠেলে ঠেলে বাইক নিয়ে যেতে রীতিমত নাজেহার অবস্থা বাইক চালক থেকে শুরু করে যানবাহন চালকদের। এই নিয়ে এই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই রাস্তার কাজ ধীরগতিতে।
এখনো বর্ষা শুরু হয়নি।বর্ষা শুরুর আগেই ভোগান্তির চিত্র।এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরত্ব মানুষও চলাচল করতে অপারগ। মোটরবাইকের চাকা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যেতে আটকে পড়ছে। আমরা চাই , বর্ষার আগেভাগেই কাজ শেষ করতে হবে। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, টানা কাজ চলছে।দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়।