একটি সরকারি স্কিম রয়েছে যেটি তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র কৃষকদের কথা মাথায় রেখে। কৃষকদের উন্নয়নকল্পে। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগ এই সরকারি প্রকল্প চালু করেছিল।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের সকল কৃষকদের কৃষি কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। ২০২১ সালে এই প্রকল্পের নামকরণ করে রাখা হয় কৃষক বন্ধু প্রকল্প। যার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সুবিধা পাচ্ছেন আবেদনকারীরা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পের টাকা আবেদনকারীদের ব্যাংক একাউন্টে প্রেরণ করা শুরু হয়েছে। যে সমস্ত আবেদনকারী নিজের একাউন্ট সচল রেখেছেন তাদের একাউন্টে নির্দিষ্ট সময় টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
একদিনের মধ্যে সকল আবেদনকারীর একাউন্টে টাকা পাঠানো সম্ভব নয়। এখনো যারা একাউন্টে টাকা পাননি তাদের জন্য খুব একটা চিন্তার বিষয় কিছু নেই। যদি কৃষকদের স্ট্যাটাসে ADA আপলোডেড থাকে, তাদের ট্রানজাকশন স্ট্যাটাস ভ্যালিড না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু কৃষকরা টাকা পাবেন না।
সব থেকে বড় প্রশ্নটা হল, কিভাবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আপনার নাম চেক করবেন। জানবেন আপনার নাম অ্যাপ্রুভ হয়েছে কিনা। এর জন্য প্রথমে স্ট্যাটাসে নিজের কৃষক বন্ধু আইডি নম্বর আপনাকে দেখতে হবে।
কৃষকের নাম জেলা ব্লক গ্রামের নাম জমির পরিমাণ সবকিছুই লেখা থাকবে। তারপরে স্ট্যাটাস থাকবে এপ্রুভড। যদি অ্যাপ্রুভ না হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য।
আবার আপনাকে চেক করতে হবে আপনার প্রকল্পের স্ট্যাটাস। দেখতে হবে ট্রানজাকশন স্ট্যাটাস সাকসেসফুল হয়েছে কিনা। অনেকদিন অপেক্ষা করার পরেও যদি আপনার স্ট্যাটাস সাকসেসফুল না হয়, তাহলে কিন্তু আপনাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
জানিয়ে রাখি এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারী কৃষকের বয়স হতে হবে ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, এই প্রকল্পে প্রতি কৃষককে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে প্রদান করা হবে। এই টাকা তাদের দুটি কিস্তিতে দেওয়া হবে। সহজেই ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে আপনারা এ কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবেন।