Netaji Subhash Chandra Bose: কার্শিয়াং এর গিদ্দা পাহাড়ে, নেতাজিকে নজর বন্দি করে রেখেছিল ব্রিটিশরা

Published By: Khabar India Online | Published On:

কার্শিয়াং এর গিদ্দা পাহাড়ে নেতাজিকে নজর বন্দি করে রেখেছিল ব্রিটিশরা।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, দেশকে স্বাধীন করবার জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি লড়াই করেছিলেন।সেই লড়াই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে। দার্জিলিং এর কাশিয়াং এর অন্তর্গত গিদ্যা পাহাড় ইতিহাসের পাতায় রঙিন হয়ে রয়েছে। কারণ এখানেই নেতাজিকে ছয় মাস নজরবন্দী করে রেখেছিল ব্রিটিশরা।

১৯২২ সালে নেতাজীর দাদা শরৎচন্দ্র বোস কার সঙ্গে একটি শৈল নিবাস কিনেছিলেন। ১৯২২ থেকে ১৯৩৫ পর্যন্ত বোস পরিবার ছুটি কাটাতে এখানে এসে থাকতেন। ১৯৩৬ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজকর্ম করবার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস কে বাসভবনের নজরবন্দি করার আদেশ দিয়েছিল আদালত। নেতাজি সেখানে অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল কার্শিয়াং এর শৈলনিবাসে।

আরও পড়ুন -  ভেন্টিলেশনে জালাল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ

২৪ ঘন্টা তাকে নজরবন্দি করে রেখেছিল ব্রিটিশরা, কিন্তু তারপরেও নেতাজি কে আটকাতে পারিনি তারা। তিনি এখান থেকে দেশ স্বাধীন করবার কার্যকলাপ করে চলতেন। দিনের বেশিরভাগ সময় বই পড়ে কাটতো নেতাজির। এখান থেকে ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন -  নেতাজির ১২৬ তম জন্মদিবস

দেশ মায়ের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া আর যেন কিছুই ছিল না তার জীবনে, সব সময় একটা চিন্তাভাবনা থাকতো কি করে দেশ স্বাধীন করবেন। ব্রিটিশদের ত্রাস ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ইংরেজদের উপযুক্ত শায়েস্তা করতে ইংরেজদের শত্রু হিটলারের সাথে সন্ধি করেছিলেন তিনি। তাঁকে কোনভাবেই ব্রিটিশরা দমিয়ে রাখতে পারেনি। কোন সময় নেতা হিসেবে আবার কোন সময় বিপ্লবী হিসাবে দেশের জন্য লড়াই করেছেন নেতাজি।

আরও পড়ুন -  এই নিয়মগুলি বদল হচ্ছে ১লা অগাস্ট থেকেই, জেনে রাখুন

১৯৪৫ সালে কারাগার থেকে নেতাজির মুক্তি হওয়ার পরে বুষ পরিবার এই শৈলনিবাসে ছুটি কাটাতে আসে। এরপর বেশ কিছু সময় বেহাল অবস্থায় পড়েছিল এই বাড়ি , এরপরে শিক্ষা দপ্তর এই বাড়িটিকে অধিগ্রহন করে। ২০০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর আমলে বাড়িটিতে মিউজিয়াম তৈরি হয়।

তথ্য ও ছবিঃ সংগৃহীত।