মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপ। দেশটিতে গত কয়েক বছর যাবত স্টেডিয়াম সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছে অনেক দেশের হাজার হাজার শ্রমিক।
বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। স্বীকার করলেন কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি।
ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর এই সংখ্যা স্বীকার করেন আল-থাওয়াদি। সোমবার টকটিভিতে ওই সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়।
কাতারের সরকারি কর্মকর্তারা প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর যে হিসাব আগে জানিয়েছিল, এই সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন। আগে নভেম্বরে সিএনএনের প্রশ্নের জবাবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় তিন জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন।
সেদিন নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০ জনের বেশি শ্রমিককে উদ্বোধনী ম্যাচের সময় বিভিন্ন স্টলে কাজ করানোর জন্য ভাড়া করা হয়। ম্যাচ শুরুর আগে সকাল থেকে তারা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন এবং জানতেন না কি ধরনের কাজ করতে হবে। এই অপেক্ষায় থাকার সময় তারা কোনো খাবার ও জল পাননি। শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগও ছিল না।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয় ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ৬ হাজার ৫০০ কর্মী মারা গেছে।
কাতার সরকার এই দাবিকে ‘আপত্তিকর ও উসকানিমূলক’ বলে অভিহিত করে এসেছে। তারা দেশের সুনাম রক্ষার জন্য ‘আইনি’ পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছেও বলে জানায়।
ছবিঃ সংগৃহীত।