খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কামোর্তা শ্রেণীর প্রোজেক্ট-২৮ কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ কাভারাত্তি (পি-৩১)-কে আজ বিশাখাপাত্তনমে এক অনুষ্ঠানে নৌ-বাহিনীতে সামিল করেন সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। এই উপলক্ষে পূর্বাঞ্চলীয় নৌ-কম্যান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল অতুল কুমার জৈন, অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল এবং কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (জিআরএসই) চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডায়রেক্টর শ্রী বিপীন কুমার সাক্সেনা প্রমুখ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে জিআরএসই ভারতীয় নৌ-বাহিনীর জন্য ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ কাভারাত্তি নির্মাণ করেছে।
জেনারেল নারাভানে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছলে সেখানে নৌ-জেটিতেই তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। যুদ্ধ জাহাজ কাভারাত্তিকে নৌ-বাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে সামিল করার পর সেনা প্রধান সেখানে একটি ফলকের আবরণ উন্মোচন এবং অত্যাধুনিক এই যুদ্ধ জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এরপর তিনি এক সমাবেশেও ভাষণ দেন।
লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী কাভারাত্তির নাম অনুসারে এই যুদ্ধ জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে। উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট ডিএমআর ২৪৯এ ইস্পাত ব্যবহার করে ভারতে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে। দৈর্ঘ্য ১০৯ মিটার এবং প্রস্থ ১৪ মিটার। ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী কাভারাত্তি যুদ্ধ জাহাজটি প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর ৩,৩০০ টন পর্যন্ত সামগ্রী পরিবহণে সক্ষম। জাহাজটিকে পরিচালনার জন্য রয়েছে চারটি ডিজেলচালিত ইঞ্জিন। এছাড়াও, জাহাজটির নকশা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে তা সহজে শত্রুপক্ষের নজরে না পড়ে।
এই যুদ্ধ জাহাজটির অভিনব বৈশিষ্ট্যগুলি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি, অত্যাধুনিক এই জাহাজটিতে যে সমস্ত উপকরণ ও যুদ্ধাস্ত্র সরঞ্জাম রয়েছে, তা ব্যবহার করে পারমাণবিক, জৈবিক এবং রাসায়নিক যুদ্ধ মোকাবিলা করা সম্ভব। জাহাজে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর যন্ত্র যা দিয়ে শত্রুপক্ষের নিক্ষেপ করা অস্ত্রশস্ত্র সহজেই প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
এই যুদ্ধ জাহাজটি ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে সামিল হওয়ার ফলে বাহিনীর ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেল। জাহাজটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দু’জন আধিকারিক ও ১৩৪ জন নৌ-কর্মী। কম্যান্ডার সন্দীপ সিং জাহাজটির কম্যান্ডিং অফিসার হয়েছেন। পূর্বাঞ্চলীয় নৌ-কম্যান্ডের অধীনে ইস্টার্ন ফ্লিটের এক অভিন্ন অঙ্গ হয়ে উঠবে কাভারাত্তি নামের এই যুদ্ধ জাহাজটি। সূত্র – পিআইবি।