দুইদিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সিয়ানজুরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা কুজেনাং-এর একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির নিচে থেকে আজকা নামের শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এই উদ্ধার স্বেচ্ছাসেবকদের আশাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে, সোমবার পশ্চিম জাভা শহরে সিয়াঞ্জুরে আঘাত হানা শক্তিশালী কম্পনের পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। যেখানে অন্তত ২৭১ জন নিহত হয়েছে।
২৮ বছর বয়সী স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক জেকসেন যিনি আজাকাকে উদ্ধার করেন, বৃহস্পতিবার এএফপিকে বলেন, একবার যখন আমরা বুঝতে পারলাম আজকা বেঁচে আছে তখন আমি সহ সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জেকসেন জানিয়েছেন, আমরা আশা করিনি ছেলেটি ৪৮ ঘন্টা পরেও বেঁচে থাকবে, যদি আমরা জানতাম আমরা আগের রাতে আরও কঠোর চেষ্টা করতাম। আজকার উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে তার মায়ের তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
জেকসেন বলেন, ছেলেটিকে বাড়ির বাম পাশে একটি বিছানায় পাওয়া গেছে, পাশেই তার দাদির মৃতদেহ পড়েছিলো। তাকে একটি বালিশ দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছিল এবং তার ও কংক্রিটের একটি স্ল্যাবের মধ্যে মাত্র ১০-সেন্টিমিটার ব্যবধান ছিল। সেখানে প্রচন্ড অন্ধকার, গরম এবং বাতাস চলাচলের জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল না।
সোমবার ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা দ্বীপের সিয়ানজুর শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭১ জনে দাড়িয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি মানুষ। নিখোজ রয়েছেন শতাধিক।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি জানিয়েছে, ২২ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ এএফপি। ছবিঃ সংগৃহীত।