বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। সাথে কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৭৩ জন। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ১৩ হাজার ৪১১ জনে।
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ৪০৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৩ জন এবং মারা গেছেন ৮১ জন।
প্রাণহানির তালিকায় রয়েছে তাইওয়ান, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিন কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৭৭ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ১১৮ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৭০ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৪ জন মারা গেছেন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৩০৬ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৪৪১ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৯১৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিকী ছবি।