শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে হেরে বিপাকে পড়ে। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৫৩ রানের টার্গেট দাঁড় করিয়েছিলো।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আমিরাত। লঙ্কান বোলিং এর তোরে ১৫৩ তাড়া করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতে ৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। শ্রীলঙ্কার ৭৯ রানের বিশাল জয়।
আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস আয়ান আফজাল খানের। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কনিষ্ঠ এই ক্রিকেটার ২১ বলে করেন ১৯ রান। চিরাগ সুরির ১৪ ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর ১৮ রান ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি আর কেও।
লঙ্কান বোলিংয়ে সেরা সাফল্য দুশমন্থ চামিরার। ইনজুরি থেকে ফিরে দুর্দান্ত বল করছেন এই পেসার। আজও নিলেন প্রতিপক্ষের তিনটি উইকেট। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও তিনটি উইকেট লাভ করেন।
আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু পেয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। পাওয়ারপ্লেতে ৫২ আর দশ ওভার শেষে ৮৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কা তখন ছুটছিলো বড় স্কোরের দিকে। যদিও মাঝের ওভারে উইকেট হারিয়ে রানের চাকাও খানিকটা গতি হারিয়েছিলো। তবে ইনিংসের ১৪তম ওভারে ১৫ রান তুলে আবারও ঝড়ের আভাস দিচ্ছিলো লঙ্কানরা।
সেই সময় বল তুলে দেয়া হয় কার্তিক মিয়াপ্পনের হাতে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে এই লেগ স্পিনারের ‘ম্যাজিক’ ওভারেই বিধ্বস্ত লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম তিন বলে তিন রান দেয়ার পর ওভারের চতুর্থ বলে কার্তিক সাজঘরে পাঠান রাজাপাকসেকে। এরপর পঞ্চম বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
৮ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ১৫২ রানে। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার। ছয় চার এবং দুই ছক্কায় ৬০ বলে ৭৪ রান করেন লঙ্কান এ ব্যাটার। এছাড়া কুশল মেন্ডিসের ১৮ এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৩৩ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে যাওয়ার আশা বেঁচে রইলো লঙ্কানদের। তার জন্য গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিততে হবে, আর রাখতে হবে রানরেটের দিকে। ছবিঃ সংগৃহীত।