সিএসআইআর-সিএমইআরআই পুর এলাকার কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে এক সুস্থায়ী ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী, পুর এলাকার কঠিন বর্জ্যের সুস্থায়ী প্রক্রিয়াকরণের মতো বিষয়গুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে। কঠিন বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ বর্জ্য পদার্থের রূপান্তর ঘটিয়ে কার্যকর সামগ্রীতে পরিবর্তন করাই নয়, বরং এক পরিচ্ছন্ন ও দূষণ মুক্ত বাতাবরণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এ ধরনের প্রক্রিয়া গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে। মাটি, বাতাস ও জলে দূষিত পদার্থের সংমিশ্রণ ঠেকাতে কঠিন বর্জ্য পরিচালনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ সম্পর্কে বিশদে জানাতে গিয়ে দুর্গাপুরের সিএসআইআর – সিএমইআরআই এর অধিকর্তা হরিশ ইরানি বলেন, পরম্পরাগত বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে সুপ্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন পন্থা-পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। তাই, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, পুর এলাকার কঠিন বর্জ্যের উপযুক্ত প্রক্রিয়াকরণে গুরুত্ব দেওয়া আগের তুলনায় জরুরি হয়ে উঠেছে। অধ্যাপক হিরানি আরও বলেন, কঠিন বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণে ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে। ভূ-গর্ভস্থ জল, বাতাস এবং মাটি দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে এলে তাতে দূষণের সংমিশ্রণ ঘটে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রেক্ষিতে দুর্গাপুরের এই প্রতিষ্ঠানটি পুর এলাকার কঠিন বর্জ্য পদার্থ প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। এ ধরনের পদ্ধতি কঠিন বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করবে এবং কঠিন বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে মূল্য সংযুক্ত সুবিধা প্রদান করবে। তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হ’ল – বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণের দায়-দায়িত্ব থেকে শহরাঞ্চলের সাধারণ পরিবারগুলিকে মুক্তি দেওয়া। বর্জ্য পদার্থের পৃথকীকরণে আধুনিক বিভাজন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। বায়োডাইজেশন প্রক্রিয়া গ্রহণ করার ফলে দূষণের বিভিন্ন পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব হচ্ছে। এমনকি, মাস্ক, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়পার প্রভৃতি বর্জ্যের সুষ্ঠু পরিচালনায় পুর এলাকাগুলির বর্জ্য পদার্থ বিনাশে পুর এলাকাগুলির ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -  প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন

বর্জ্য পদার্থ থেকে দূষণের প্রভাব হ্রাস করতে ইন্সটিটিউট অফ পাইরোলোসিস সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে, যেখানে প্লাস্টিকের মতো বর্জ্য পদার্থগুলিকে গ্যাস ও জ্বালানিতে পরিণত করা হচ্ছে। এর ফলে, বাতাসে লক্ষ লক্ষ টন কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানো সম্ভব হচ্ছে। সিএসআইআর – সিএনইআরআই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে বিকেন্দ্রিকীত কঠিন বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থার উদ্ভাবন করা হয়েছে, তার ফলে বর্জ্য পদার্থ থেকে যে কোনও ধরনের দূষণ এড়ানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  Pepper: জীবন বদলে দিতে পারে গোলমরিচের গুণ