ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে চলতি বছর অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ১৯ শিশুসহ কমপক্ষে ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে,২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ। মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি জেনিন এবং নাবলুস বা উত্তর পশ্চিম তীরের আশেপাশের গ্রামের।
শনিবারও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ১৮ বছর বয়সী এক যুবক।
রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন অনুসারে, নিহতের মধ্যে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। সশস্ত্র বেসামরিক ইসরায়েলিরাও ফিলিস্তিনিদের হত্যায় জড়িত রয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো পরিসংখ্যান অনুসারে, নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যেক পাঁচজন একজন শিশু, যাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের বয়স ছিলো ১৪ বছর।
নিহতদের তালিকায় রয়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্য, কিশোর এবং যুবক যারা ঢিল বা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো, বিক্ষোভকারী এবং বসতি বিরোধী কর্মীরা এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে ছুরি হামলা বা অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে সবচেয়ে আলোচিত মৃত্যু ছিল কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর। গত ১১ মে দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহর সংবাদ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুতে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে একটি সাত বছর বয়সী ছেলের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পরে অবিলম্বে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। যখন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তার ভাইদের পাথর নিক্ষেপের অভিযোগের পরে পরিবারের বাড়িতে এসেছিল। সেনাবাহিনী বলেছে যে প্রাথমিক তদন্তে তল্লাশি অভিযান এবং ছেলেটির মৃত্যুর মধ্যে কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে আরব ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের পৃথক হামলায় ১৬ জন ইসরায়েলি এবং দুই বিদেশী নিহত হয়। তার পরেই পশ্চিম তীরে সেনা অভিযান জোরদার করে ইসরায়েলি বাহিনী। ছবিঃ সংগৃহীত।