Iran: নিহত বেড়ে ৮, ইরানে পুলিশ হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইরানের পুলিশ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় পঞ্চম দিনের মত বিক্ষোভ অব্যাহত।

ইরানী কর্তৃপক্ষ এবং একটি কুর্দি অধিকার গোষ্ঠী বুধবার মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে।

ইরানি মিডিয়া এবং একজন স্থানীয় প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, গত দুই দিনে চারজন নিহত হয়েছে। সরকারী সূত্র অনুসারে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ জনে দাড়িছে, একজন পুলিশ সদস্য এবং সরকার সমর্থক মিলিশিয়া সদস্য রয়েছে।

 কুর্দি অধিকার গোষ্ঠী হেনগাওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে যার মধ্যে বুধবারই তিনজন মারা গেছে। এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

আরও পড়ুন -  Viral Video: নীল ব্রালেটে ছাদে দুর্দান্ত নাচ সুন্দরী যুবতীর, ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানে, আগে দেখে নিন ভিডিও

গত সপ্তাহে নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, হিজাব না পরার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

প্রথমে বিক্ষোভ ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে শুরু হলেও ক্রমে ৫০টি শহর ও নগরে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ এ পেট্রলের দাম নিয়ে হওয়া বিক্ষোভের পর দেখা সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ এটি।

আরও পড়ুন -  Iran: ইরানি কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের হত্যা করেছে, এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সশস্ত্র ভিন্নমতাবলম্বীদের গুলিতে নিহত হয়ে থাকতে পারে।

 বিক্ষোভ কমার কোনো লক্ষণ না থাকায় কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটে প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলে হেনগাও, স্থানীয় বাসিন্দারা ও ইন্টারনেট বন্ধ করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী নেটব্লকস জানিয়েছে।

নেটব্লকস ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইরান সচরাচর যে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার অনুমতি দেয় ও যেটির লাখ লাখ অনুসারি আছে সেই ইনস্টাগ্রামে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং কিছু মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Sadio Mane: রোনালদো ও মানে জুটি হলেন, দেখা যাবে আল নাসরে

নেটব্লকস বলেছে, ইরান এখন নভেম্বর ২০১৯ গণহত্যার পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর ইন্টারনেট বিধিনিষেধের অধীন রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বলেছেন যে তারা কেবল লেখা পাঠাতে পারে, ছবি নয়, যখন হেনগাও বলেছিলেন যে কুর্দিস্তান প্রদেশে ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস কেটে দেওয়া হয়েছে।

 ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা প্ল্যাটফর্ম, মন্তব্যের জন্য অনুরোধের সাথে সাড়া দেয়নি।

সূত্রঃ  রয়টার্স।  ছবিঃ রয়টার্স।