রানির ভরসা ছিল যে বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ

Published By: Khabar India Online | Published On:

  হাজার বিতর্কের মাঝেও গোটা জীবনে এক বারও সংবাদমাধমে মুখ খোলেননি রানি।  

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছবিঃ সংগৃহীত। 

 সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াতে বহু বার রানিকে দেখা গিয়েছে রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজপ্রাসাদে চলে যেতে। হাজার হাজার একরের উপর তৈরি সে সব প্রাসাদে অভাব নেই বিলাসব্যসনের।

বাকিংহাম প্রাসাদ

উড ফার্ম

লন্ডনের এই প্রাসাদ তৈরি ১৭০৩ সালে। ১৮৩৭ সালে সরকারি ভাবে এই প্রাসাদে রাজপরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ৭৭৫টি ঘর রয়েছে এই প্রাসাদে। কর্মচারীদের থাকার জন্য রয়েছে ১৮৮টি ঘর, ৯২টি অফিসঘর ও ৭৮টি বাথরুম। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ও ইস্টারের দিন এই প্রাসাদের একাংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -  Kangana Ranaut: স্কুল ড্রেসে শৈশবের মিষ্টি ছবি পোস্ট করলেন, অভিনেত্রী কঙ্গনা

উড ফার্ম

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও রাজা ফিলিপের শীতকালীন নিবাস ছিল এই প্রাসাদ। ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণের পর থেকে এখানেই থাকতেন ফিলিপ। লাল ইট ও সুরকির তৈরি এই প্রাসাদ প্রায় ২০ হাজার একরের উপর তৈরি। বন্দুক রাখার জায়গা, বোলিং করার জায়গা থেকে চুল কাটার নিজস্ব সালোঁ, কোনও কিছুরই অভাব নেই এই প্রাসাদের ভিতর। এই প্রাসাদের উদ্যানের মধ্যেই থাকা একটি বাগানবাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। এয়ারবিএনবিতে বুক করে নিলে সেখানে থাকতে পারেন পর্যটকরা।

আরও পড়ুন -  Buckingham Palace: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন, বাকিংহাম প্রাসাদে

উইন্ডসর কেল্লা

উইন্ডসর কেল্লা

ইংল্যান্ডের বার্কশায়ার কাউন্টির এই কেল্লাটি ব্রিটেনের রাজপরিবারের ‘গ্রামের বাড়ি’। কেল্লাটি প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন। ছুটির দিনেই সপরিবার এখানে থাকতেন রানি। কেল্লায় রয়েছে এক হাজার ঘর। এটিই বর্তমানে পৃথিবীর বৃহত্তম বসবাসযোগ্য কেল্লা। কেল্লার বিশেষ কিছু অংশ ঘুরে দেখা যায়। মঙ্গল ও বুধবার বন্ধ থাকে কেল্লা।

বালমোরাল কেল্লা

রাজপরিবারের অন্য প্রাসাদগুলি সরকারি সম্পত্তি। স্কটল্যান্ডের এই কেল্লাটি সেই অর্থে ব্যতিক্রমী। এটি ব্রিটেনের রাজপরিবারের ব্যক্তিগত প্রাসাদ। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ অনেকের মতে, এখানে থাকতেই সবচেয়ে পছন্দ করতেন রানি। গত ২৪ জুলাই এখানে আসেন রানি। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এখানেই। ডি নদীর ধারে প্রায় ৫০ হাজার একরের উপর কেল্লা ছাড়াও রয়েছে প্রায় ১৫০টি বাড়ি। প্রায় সবগুলিই কেল্লার কর্মচারীদের জন্য নির্মিত। প্রতি বছর সাধারণত ৩০ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যটকদের জন্য আংশিক খুলে দেওয়া হয় কেল্লাটি।

আরও পড়ুন -  Indonesia earthquake: ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ায় আবার

এই ছাড়াও রিচমন্ড, কেনসিঙটন, এডিনবরা ও হিলসবরোর মতো বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে রাজপরিবারের প্রাসাদ।

 

 

বালমোরাল কেল্লা