অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন, ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার পরে রাতারাতি জীবন পাল্টে গিয়েছিল ভবানীপুরের এই কন্যার।
সম্প্রতি টুইংকেল খান্নার ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। সেখানে প্রথম ছবির শুটিং এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। ছবির শুটিংয়ের সময় কিভাবে প্রকাশ্যে পুরো টিমের সামনে তাকে অপমান এবং আক্রমণ করেছিলেন পরিচালক মহেশ ভাট।
নিজের প্রথম ছবির সেটে অভিজ্ঞতার কথা সর্বসমক্ষে জানালেন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। স্মৃতিচারণায় সুস্মিতা সেন বলছেন, সবে সবে তিনি তখন মিস ইউনিভার্স এর খেতাব জিতেছেন। লস এঞ্জেলাস থেকে ফেরার পর পরিচালক মহেশ ভাট তাকে ডাকেন একটি ছবিতে অভিনয় এর জন্য।তিনি নিজেই ফোন করে সুস্মিতা সেনকে ছবিতে তার নিজের নামেই অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাব পেয়ে অত্যন্ত খুশিও হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন।
প্রথম ছবির শুটিং এর সেটাই হয়েছিল তার জীবনের সবথেকে খারাপ অভিজ্ঞতাটি। সেই ছবির সেটে প্রকাশ্যে মহেশ ভাট তাকে অপমান করেন এবং তাকে চড় পর্যন্ত মারেন! সুস্মিতা সেন বলছেন, ‘মহেশ ভাট একজন অসাধারণ পরিচালক। প্রথম ছবির প্রথম দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় আমার রাগ করার দৃশ্য ছিল। সেই সময় হঠাৎই তিনি আমাকে অপমানিত করতে শুরু করেন। ৪০ জন সংবাদমাধ্যমের কর্মী, ২০ জন প্রোডাকশনের কর্মী, সকলের সামনে তিনি আমাকে আক্রমণ করতে শুরু করেন। আর আমি কাঁদতে শুরু করি।’
বলতে থাকেন, ‘এ কাকে নিয়ে এসেছো! ক্যামেরার সামনে মিস ইউনিভার্সকে দেখাবে এভাবে? ও নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য অভিনয় করতে পারেনা।’ সুস্মিতা সেন বলে চলেন, ‘আমি মারাত্মক রেগে যাই। সেট থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য হাঁটতে শুরু করে দেই। তখন মহেশ ভাট আমার হাতটা চেপে ধরেন। আমি প্রচন্ড রেগে গিয়ে হাতটা ছিটকে নিয়ে বলি, আপনি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পারেন না। ফের আমি হাঁটতে শুরু করে দেই। মহেশ ভাট আবার ও আমার হাত ধরেন। আর বলেন, এটাই রাগ, যাও সেটা ফিরে যাও আর এটাই করে দেখাও।’