‘বাংলাকে জানুন’, এই ধরনের কিছু নাম দিয়ে কাজ শুরু করতে, আমার বায়োপিক বানাতে হবেনাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

 কালীঘাট অঞ্চলের অত্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের লড়াই ছিল পরিবর্তনের জন্য। সেদিন তার পরনে সাদা শাড়ি থাকত কখনও, কখনও বা সালোয়ার-কামিজ। আসলে কালীঘাট অঞ্চলের মন্দির চত্বরে বরাবর পাঁচ টাকার বিনিময়ে একজোড়া সাদা শাড়ি মিলত। প্রাইমারী স্কুলের টিচারের মাইনে বিলাসিতার ছিল না। ওই দুটি শাড়ি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকত মেয়েটি। বাড়িতেও অত বড় সংসার চালাতে হিমশিম।

অর্ধেক দিন রাতে এক গ্লাস জল খেয়ে শুয়ে পড়ত। তার ভাগের রুটিটা যে ছোট ভাইকে খেতে দিয়েছে। হয়ে গিয়েছিল মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস। চোখে অনেক বড় স্বপ্ন যা ঘুমাতে দিত না। এই কথাগুলি পড়ার পর মনে হতেই পারে, এ আর এমন কি! যত আজগুবি গল্পকথা! আজও, একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও বহু মেয়ে এভাবেই পরিবারের জন্য আত্মত্যাগ করেন। নারী যে মাতৃজাতি। তাই কষ্ট পেতে নেই।

মেয়েটির কষ্ট হত না। হয়তো বা হত। মুখে বলতেন না। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করেছিল মেয়েটি। পরবর্তীকালে শঙ্খ বাজিয়ে বাংলা বরণ করে নিয়েছিল তার মেয়েকে, বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পদে। বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), যাঁকে বিদ্রুপ করতে গেলেও মাথা নেড়ে বলতেই হয়, সত্যিই একসময় লড়াই করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন -  নন্দীগ্রামের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বহুদিন আগে মমতার জীবন অবলম্বনে একটি ফিল্ম তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। কিন্তু ছুঁতে পারেননি মমতাকে। বরাবর নিজের বায়োপিক বানানোর ঘোরতর বিরোধী মমতা। এখনও তাঁর গলায় ছিল একই সুর।

আরও পড়ুন -  গত পাঁচ মাস ধরে বকেয়া থাকা বেতনের দাবিতে আসানসোলে সিএমপিডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ

 বাংলার ভালো কাজের প্রচার চেয়েছেন মমতা। তাঁর মতে, ফিল্ম এই প্রচারের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশনাল বোর্ডের বৈঠকে শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম পরিচালক গৌতম ঘোষ (Gautam Ghosh)। তাঁকে এদিন মমতা অনুরোধ করেন, বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ভালো ফিল্ম বানাতে অথবা তিন মাস বা ছয় মাসের স্লটে টিভি অনুষ্ঠান করতে যার মাধ্যমে বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। মমতা বলেন, ‘বাংলাকে জানুন’ বা এই ধরনের কিছু নাম দিয়ে কাজ শুরু করতে।

আরও পড়ুন -  অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়