খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ গত ২৪ ঘন্টায় এযাবৎ একদিনেই সর্বাধিক ৬০,০৯১ জন সুস্থ হয়েছেন
ভারতে সুস্থতার হার নতুন উচ্চতায় পৌঁছে ৭৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
ভারতে ৩ কোটি নমুনা পরীক্ষার মাইলফলক অর্জনের পর আরও একটি সাফল্য পাওয়া গেছে। আজ সুস্থতার সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে ২০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭০ হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় এযাবৎ একদিনেই সর্বাধিক ৬০,০৯১ জন আরোগ্য লাভ করায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিরন্তর কমছে। একইসঙ্গে, হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে থাকা আরও অধিক সংখ্যক রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে পৌঁছেছে ৭৩.৬৪ শতাংশে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে মৃত্যু হার ক্রমশ কমছে, আজ এই হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯১ শতাংশ।
দেশে আক্রান্তের তুলনায় নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের হার এক-চতুর্থাংশ বা ২৪.৪৫ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত নিম্নমুখী হওয়ার দরুণ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের গৃহীত কৌশলগুলির সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এতে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫১৪-র তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৫৬ ছাড়িয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারির গোড়ার দিকে কেন্দ্রীয় সরকার সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্রিয়, সুপরিকল্পিত এবং কার্যকর কৌশল গ্রহণ করে। এই প্রয়াসগুলির ফলেই এখন সংক্রমণ প্রতিরোধে লক্ষ্যণীয় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।
উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি, ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা, আক্রান্তদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের নীতি গ্রহণ করায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখাও সম্ভব হয়েছে। এই কাজে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা পরিকাঠামোর মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে সুনির্দিষ্ট কোভিড কেয়ার সেন্টার, কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সুনির্দিষ্ট কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ ধরনের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলির সংখ্যাও বেড়েছে। দেশে বর্তমানে সুনির্দিষ্ট কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ১,৬৬৭। কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা ৩,৪৫৫ এবং সুনির্দিষ্ট কোভিড কেয়ার সেন্টারের সংখ্যা ১১,৫৯৭। এই কেন্দ্র এবং হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪৫ হাজারের বেশি, অক্সিজেন সাপোর্টেড বেডের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩ হাজার ৯৫৯ এবং আইসিইউ বেডের সংখ্যা ৫৩,০৪০।
সরকারি পর্যায়ে এই সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আশা কর্মীরাও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, আশাকর্মীরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য মানুষের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছেন এবং হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের সঠিক পরিচর্যা পৌঁছে দিয়েছেন। এমনকি, আশাকর্মীরা সচেতনতামূলক অভিযান গ্রহণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কোভিড সম্পর্কে সতর্ক করার কাজ পালন করে চলেছেন। সেইসঙ্গে সঙ্কটজনক রোগীকে দ্রুত স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতে https://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন। অথবা ট্যুইটার হ্যান্ডেল @MoHFW_INDIA.-এর সাহায্য নিতে পারেন।
কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে technicalquery.covid19@gov.in অথবা ncov2019@gov.in – এই দুটি ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। ট্যুইটার হ্যান্ডেল @CovidIndiaSeva-এ ও প্রশ্ন করা যাবে।
এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭ -৮০৪৬ অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা পেতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন –
https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf
সূত্র – পিআইবি।