পার্থ ঘনিষ্ঠ একাধিক জেলার নেতারা, ইডির জালে ধরা পড়তে পারেন, লিস্ট তৈরি হচ্ছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

এসএসসিতে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

 তদন্তে নেমে প্রথমেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থক্য ঘনিষ্ঠ পেশায় অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এই গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক সম্পত্তি এবং কোটি কোটি টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়ে চলেছে। এই দুর্নীতির জাল যে অনেক দূরে তা প্রথম থেকেই আঁচ করেছেন আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন -  অর্পিতার দাবি, “টাকা আমার নয়, অজান্তে আমার ঘরে টাকা ঢোকানো হয়েছে”

ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু নেতার থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই টাকা আসতো। পার্থ কে জেরা করে এমন তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে ইডির নজরে রয়েছেন সেই সমস্ত নেতারা। এখনো পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলেও, খুব শীঘ্রই কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সমস্ত নেতাদের উপরে নজরদারি চালাতে শুরু করেছে ইডি।

আরও পড়ুন -  BREAKING NEWS: অর্পিতার রথতলার ফ্ল্যাটে টাকা গুনতে আসছে ব্যাঙ্ক কর্মীরা, আরও নগদ টাকা!

জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুপারিশ থেকে শুরু করে নানা কাজের নামে এই টাকা আসতো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। জেলার নেতারাই এই টাকা পৌঁছে দিতেন পার্থর কাছে। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই সমস্ত নেতাদেরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, এই টাকা তারা কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিতেন? সেই সমস্ত নেতাদের উপরে শুধুমাত্র নজরদারি চালাচ্ছে ইডি। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে তালিকা।

আরও পড়ুন -  আগমনী সাজে মা দুর্গার নানান রূপ

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে নগদ। ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়েছে। ফ্ল্যাটে রাতভর তল্লাশির পর সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা এবং সোনা ট্রাঙ্কে ভরে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দপ্তরে। বিবাদী বাগের এসবিআই সদর দপ্তরে এই মুহূর্তে এই সমস্ত টাকা রয়েছে।