হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর মারা গেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ভূপিন্দর সিং। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর।
সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গায়কের স্ত্রী মিতালি সিং।
মিতালি জানান, করোনার পরবর্তী বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিলো। বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
সংবাদমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে জানা গেছে, শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন খ্যাতনামা এই গজলশিল্পী। অসুস্থতা এতটাই বেড়েছিলো যে, ১০ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। চিকিৎসকদের অনুমান, কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভূপিন্দর সিং। তার ওপর আবার করোনা টেস্টেরও রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিলো।
প্রসঙ্গত, ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম ১৯৪০ সালে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে। বাবার কাছে গানে তালিম নিতে শুরু করেছিলেন।পরে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে যোগ দেন ভূপিন্দর সিং। দূরদর্শনের সঙ্গেও যুক্ত হন। বাংলাদেশি গায়িকা মিতালি মুখার্জির সঙ্গে আশির দশকের শেষ দিকে পরিচয় হয় ভূপিন্দরের। পরে তাদের চার হাত এক হয়। এই সময় প্লে-ব্যাকের দুনিয়া থেকে বিরতি নেন ভূপিন্দর। স্ত্রীর সঙ্গে মিলে মিউজিক অ্যালবাম প্রোডিউস করার দিকে ঝোঁকেন।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘মেরা রং দে বসন্তি চোলা’, ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘পেয়ার হামে কিস মোড় পে লে আয়া’, ‘সাত্তে পে সাত্তা’, ‘এক আকেলা ইস শহর মে’ ইত্যাদি।