সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) র সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিমানবন্দরের ঘটনা। নিয়ে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যদি ঋতুপর্ণার স্থানে কোনো রাজনীতিবিদ হতেন যাঁরা সাধারণ মানুষের রাজস্বের অর্থে বিমানে চড়েন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কি একই ভাবে মুখের উপর বন্ধ হয়ে যেত বিমানবন্দরের দরজা? রীতিমত সমালোচনার পর ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাইলেন ঋতুপর্ণার কাছে।
ইন্ডিগোর তরফে ঋতুপর্ণার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ফোন করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। টুইটার মারফত তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। ঋতুপর্ণা সেই টুইট শেয়ার করে তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Hope this will not be repeated for the future travels ..Am not only asking for me but for all our citizens!! Let’s hope for the best ! @IndiGo6E
— Rituparna Sengupta (@RituparnaSpeaks) March 31, 2022
পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, বিমান ছাড়ার পঁচিশ মিনিট আগে বোর্ডিং বন্ধ করে দেওয়া যাত্রী ও বিমানসংস্থা কারোর পক্ষেই ঠিক নয়। সেদিন ওই ফ্লাইটে না উঠতে পারার জন্য ঋতুপর্ণাকে দুটি ফ্লাইট চেঞ্জ করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। এর ফলে তিনি একটি অ্যাসাইনমেন্ট মিস করেছেন। তাঁকে ও সকল দেশবাসীকে যাতে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা।
তবে এই ঘটনার ফলে ঋতুপর্ণার বিরুদ্ধে কয়েকজন নেটিজেন কমেন্ট করেছেন। ঋতুপর্ণা তা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, কাজ বা কোনো এমারজেন্সি থাকলে অনেক কষ্ট করে সকলে এয়ারপোর্টে পৌঁছান। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটে।
ফলে সমগ্র দেশবাসীর জন্য এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা। এই ঘটনার ফলে তাঁকে এখনও নিজের কাজ শেষ করতে জার্নি করতে হচ্ছে। তাঁর শুটিং আমেদাবাদ থেকে তিন ঘন্টা দূরত্বের একটি স্থানে থাকার জন্য তিনি বারবার সেদিন অনুরোধ করেছিলেন।
View this post on Instagram
ঘটনাটি ঘটেছিল মঙ্গলবার সকালে। ঋতুপর্ণার ফ্লাইটের বোর্ডিং টাইম ছিল ভোর 4: 55 -এ। কিন্তু তিনি 5:12-এ পৌঁছান এয়ারপোর্টে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি জানান ঋতুপর্ণা।