মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সিরিয়া-ইরাকে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান ও ইসরায়েল। ওই অঞ্চলে থাকা মার্কিন সেনারা ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানায় মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োজিত মার্কিন শীর্ষ এক জেনারেল। ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের কাছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক দিন পর এমন তথ্য জানালেন তিনি। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেন, গত ছয় মাসে মার্কিন সেনা ও বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে কমান্ডারদের ভালো পদক্ষেপে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ম্যাকেঞ্জি ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা চলতি সপ্তাহে জানান, সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার লক্ষ্য বস্তু ছিল ভ্ন্নি। অন্যদিকে ইরান জানায়, ইরবিলে ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।
আগে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তেহরান ওই হামলা করে।
ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেন, আমি মনে করি ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েলও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে ইরানও এক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু দেশ দুইটির এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে উদ্বেগের কথা জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই জেনারেল বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই আমাদের (মার্কিন) সেনারা সিরিয়া ও ইরাকে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
ইরাকে মার্কিন সেনাদের দীর্ঘ উপস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে ইরান। তবে ২০২০ সালে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় তেহরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলায়মানি নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। কারণ সে ঘটনার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের লক্ষ্য করে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ছবিঃ সংগৃহীত