খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ প্রায় ২ হাজার বছর ধরে কালজিরা নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনাও এ কথা বলে গেছেন। নিয়মিত কালজিরা খাওয়ার ফলে মানুষ আজীবন সুস্থ জীবন উপভোগ করতে পারে।
কালজিরা সর্দিজনিত রোগ প্রতিরোধ করে। সর্দিজনিত কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলে কালজিরার ভাতে বিশেষ উপকার। আবার কালজিরার তেল নাকে দিলেও উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মাথাব্যথা, দাঁতব্যথাসহ চোখ ওঠার ওষুধ হিসেবে কাজ করে কালজিরা।
অ্যাজমা, অ্যালার্জি, ব্রংকাইটিস, বার্ড ফ্লুর মতো রোগের প্রতিষেধক হলো কালজিরা। নিয়মিত খাওয়া বা সেবনের ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে। তা ছাড়া রক্তচাপ কমায়। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী। তবে যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের বেশি না খাওয়া ভালো। কেননা বেশি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
কালজিরা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত কালজিরা খেলে ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতাও মানবদেহে সৃষ্টি হয়। নারীর পিরিয়ডজনিত সমস্যা দূর করতে কালজিরা খাওয়া ভালো। গর্ভবতীর বুকের দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে কালজিরা। তা ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণে কালজিরা বিশেষ উপকার। বড় ধরনের চিকিৎসায় রোগীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতেও কালজিরা খাওয়া যায়।
কালজিরায় সিস্টাইন, ভিটামিন সি, সেফ্রেইন থাকে, যা দিয়ে সিসপ্লেটিন নামক প্রতিষেধক হয়, যা কেমোথেরাপির পার্শ্বক্রিয়া দূর করে। ছবি – সংগৃহীত।