NATO: ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে নাঃ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদান না করার বিষয়টি মেনে নিতে পারে তার দেশ।

একইসঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় রুশ দাবিগুলোকে ‘যৌক্তিক’ বলেও বর্ণনা করেছেন।

বুধবার কাতারের দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ ২১তম দিনে গড়িয়েছে। এরইমধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার দাবি মানা প্রসঙ্গে প্রথমবারের মতো নমনীয় মনোভাব প্রকাশ করতে দেখা গেলো জেলেনস্কিকে।

আরও পড়ুন -  Russian Soldiers: ১ লাখ ৮০ হাজার রুশ সৈন্য হতাহত ইউক্রেনেঃ নরওয়ের সেনা প্রধান

ইউক্রেন ন্যাটোতে যাতে যোগ না দেয়- দেশটিতে আগ্রাসনের অনেক আগে থেকেই সে দাবি জানিয়ে আসছে রাশিয়া।

যেসব যুক্তি দেখিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়েছে, তারমধ্যে ন্যাটোতে দেশটির যোগাদানের আগ্রহের বিষয়টি অন্যতম।

 যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যেসব আলোচনা হয়েছে, সে আলোচনাগুলোতেও উঠে এসেছে ন্যাটো ইউক্রেনের যোগদানের আগ্রহের প্রসঙ্গও।

 মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট এক্সপেডিশনারি ফোর্সকে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। আমরা বহু বছর ধরে শুনে আসছি- দ্বার খোলা রয়েছে। তবে আমরা এটাও শুনেছি যে, আমরা যোগ দিতে পারবো না। এটাই সত্য এবং এটাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

আরও পড়ুন -  কেরালা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে

তিনি বলেন, ‘আমি খুশি যে, আমাদের লোকজন এটা বুঝতে শুরু করেছেন।’ এ সময় ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই’ জোন চালুরও দাবি জানান জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, আলোচনা চলাকালে রাশিয়ার যেসব দাবি জানিয়েছে, সেগুলো ‘আরও যৌক্তিক’ হয়ে উঠছে। এরইমধ্যে পোল্যান্ড কিয়েভে শান্তিরক্ষী মিশন মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে।

যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ। তারা প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  Bear Grylls: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিয়ার গ্রিলস, ইউক্রেনের একটি গ্যাস স্টেশনে

সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে।

রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে।