ইউক্রেন সংকটের মধ্যেই রাশিয়ার ক্রিমিয়ার উপদ্বীপের কাছে কৃষ্ণ সাগরে বৃহৎ আকারে নৌ মহড়ার আয়োজন করেছে রুশ নৌ কর্তৃপক্ষ। মহড়ায় অংশ নিচ্ছে রুশ সামরিক বাহিনীর ৩০ টির বেশি যুদ্ধ জাহাজ।
রুশ সংবাদ সংস্থা রিয়া’র ও ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘রাশিয়ান ব্ল্যাক সি’ নৌবহরের ৩০টিরও বেশি জাহাজ এই নৌ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
নৌ মহড়া চলাকালে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাগুলির প্রশিক্ষণ হবে জানিয়ে ঐ উপকূলের সবাইকে প্রশিক্ষণ এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছে রাশিয়া।
শনিবার রিয়া’র এক খবরে জানানো হয়, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে নৌ মহড়ায় অংশ নিতে রাশিয়ার ৩০টির বেশি জাহাজ সেভাসতোপোল এবং নোভোরোসিস্ক বন্দর থেকে রওনা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজারের মতো রুশ সেনা অবস্থান নিয়েছে। তাদের সঙ্গে আছে ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধবিমানসহ ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম।
এই নিয়ে যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রুশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হুচ্ছে, ইউক্রেনে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। বরং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই নিয়মিত মহড়ায় অংশ হিসেবেই তারা সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। সেই মহড়ার প্রস্তুতি হিসেবে রুশ বাহিনী আজভ সাগর পুরোপুরি অবরোধ করে রেখেছে এবং কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মইত্রো কুলেবা।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, যে বিশাল এলাকাজুড়ে নৌ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। এতে উভয় সাগরেই জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।