ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ, ও ক্যান্সার বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। ধূমপানের অভ্যাস শরীরের ভেতরে যতটুকু ক্ষতি করার, তা নিঃশব্দে করে চলেছে। একান্তই যদি ধূমপানের নেশা ছাড়তে না পারেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসাবে সুস্থ থাকতে এই খাবারগুলি খেতে পারেন।
আদা
ধূমপানের ফলে শরীরে যে নিকোটিন জমা হয়, তা রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটায়। রক্তে নিকোটিনের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে আদা। প্রতি দিন কাঁচা আদা খেলে ফুসফুসে নিকোটিন-স্তর পরিষ্কার হয়। ধূমপানের নেশাও কমে।
লেবু
কমলালেবু, মোসাম্বি লেবু, বাতাবি লেবু ইত্যাদি লেবু-জাতীয় ফলগুলি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি। এক বার ধূমপান করার ফলে যে পরিমাণ নিকোটিন শরীরে জমা হয়, তা অনেক দিন পর্যন্ত শরীরে থাকে। ত্বকের কোষ, রোমকূপের ক্ষতি করে। তা ছাড়া নিয়মিত ধূমপান করার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের কোষের ক্ষতিপূরণেও সাহায্য করে।
ধূমপানের ফলে শরীরে যে নিকোটিন জমা হয়, তা রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটায়। রক্তে নিকোটিনের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে আদা। প্রতি দিন কাঁচা আদা খেলে ফুসফুসে নিকোটিন-স্তর পরিষ্কার হয়। ধূমপানের নেশাও কমে।
বেদানা
ধূমপানের ফলে হৃদ্স্পন্দন বাড়ে। রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে অক্সিজেনের মাত্রা কমে। বেদানা খেলে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
বাদাম
ধূমপান করার ফলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
গাজর ধূমপানের অভ্যাস শরীরে ভিটামিন এ ও সি-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন গাজর খেলে ভিটামিন এ, সি, ও কে-র সঠিক মাত্রা বজায় থাকে। সূত্র: আনন্দবাজার