সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা সফররত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানানো পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের প্রতি সামরিক কায়দায় সশস্ত্র সম্মান জানায় এবং বেজে উঠে বিউগলের করুণ সুর।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে তিনি সই করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী সবিতা কোবিন্দ ও কন্যা স্বাতি কোবিন্দ।
তিনি সাভারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি জাদুঘর ঘুরে দেখবেন।
এরপর বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষাতে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সন্ধ্যায় বৈঠক হবে। সেখানেও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আয়োজনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সফর সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ব্যবহৃত দুটি প্রতিরূপ, রাশিয়ার তৈরি টি-৫৫ ট্যাংক এবং মিগ-২১ ভিন্টেজ বিমান উপহার হিসেবে দেবেন।
সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কোবিন্দকে স্বাগত জানান। এরপর তাকে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় বিমানবন্দরে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এছাড়াও কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, আইজিপিসহ উচ্চ পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। ছবি সংগৃহীত।