খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী রাম বিলাস পাসওয়ান আজ এক দেশ এক রেশন কার্ড পরিকল্পনা বিষয়ে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। জম্মু ও কাশ্মীর, মনিপুর, নাগাল্যান্ড এবং উত্তরাখন্ড এই চারটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির খাদ্য ও গণবন্টন ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে বর্তমানে ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এক দেশ এক রেশন কার্ড পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এই চারটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে পয়লা আগস্ট পর্যন্ত এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের আওতায় এসেছে মোট ২৪ রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই ২৪টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল বিহার, দাদরা, নগর হাভেলী, দমন ও দিউ, গোয়া, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরা, উত্তরাপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড। এই রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ৬৫ কোটি মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ এখন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় এসেছে। এরফলে এক রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে অন্য রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রেশন কার্ড নিয়ে গিয়েও যেকেউ খাদ্যশস্য পেতে পারেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাকি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক দেশ এক রেশন কার্ড খাদ্য এবং গণবন্টন দপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০১৩ সালে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সমস্ত সুবিধাভাগীর খাদ্য সুরক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেখানেই কেউ যাক না কেন যাতে তারা সুনির্দিষ্ট খাদ্যশস্য পান সেই লক্ষ্য পূরণে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় সমস্ত রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সহযোগিতায় গণবন্টন ক্ষেত্রে সুসংহত পরিচালন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সুবিধাভোগী পরিযায়ী শ্রমিকরা, যারা কাজের সন্ধানে জন্য ঘন ঘন তাদের বাসস্থানের জায়গা পরিবর্তন করে থাকে বর্তমান এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব বায়োমেট্রিক ভিত্তিক রেশন কার্ড অথবা আধারের সঙ্গে সংযুক্ত রেশন কার্ডের মাধ্যমে যেকোন ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে তাদের খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারবেন। সূত্র – পিআইবি।