Warm: গরম রাখবে শীতে এই সব খাবার

Published By: Khabar India Online | Published On:

 যদি শীতকালের ঠাণ্ডার মাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনা যায় তাহলে মন্দ হয়না। তাই শরীরে তাপ তৈরির জন্য খেতে হবে বিশেষ কিছু খাবার। এমন কিছু খাবার আছে যা ঠাণ্ডা দূর করে শরীরে এনে দেবে উষ্ণতা।

গরম পানীয় শরীরের ঠান্ডা কমানোর জন্য গরম কোন পানীয় খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। শীত একটু বেশী অনুভব করলে চা, কফি পান করতে পারেনে এছাড়া হট চকলেট কিংবা হট চকলেট মিল্ক। গরম অনুভব করবেন সঙ্গে সঙ্গেই।

মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো না।

তেল বা চর্বি বরাবরই ঠাণ্ডা দূর করতে বেশ কাজে দেয়। শীতের খাবারে ঘি, সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করে দেখুন। শরীরকে গরম রেখে ঠাণ্ডা দূর করবে এবং খাবারের স্বাদে নতুনত্ব আসবে।

ডিম প্রতিটি ডিমের মধ্যে রয়েছে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। ডিম শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। ডিম পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৫, বি১২, বি৬, ডি, ই, কে, ফোলেট, ফসফরাস, সেলিনিয়াম, ক্যালিয়াম ও জিংক।

আরও পড়ুন -  ভেটকি মাছের রেসিপি - ভেটকি মাছ ভর্তা

আদা হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে শরীরকে গরম করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে শীতের ঠাণ্ডা দূর হয়। খাবারে সামান্য আদা যোগ করুন। চায়ে, স্যুপে কিংবা খাবারে আদা ব্যবহার করুন।

মিষ্টি আলু শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীতও কম অনুভব করতে সহায়তা করে।

মধু সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এ ছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী এটি।

আরও পড়ুন -  ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় টেক্সটাইল এবং কৌশল, ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ

মরিচের মধ্যে ক্যাপসাসিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা ত্বকে জ্বালা অনুভূতি দেয় ও শরীরকে শীতকালে গরম রাখে।

 পেঁয়াজ শরীরকে গরম রাখার পাশাপাশি শীতজনিত অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

শুকনো ফল খেজুর, অ্যাপ্রিকট ও অন্যান্য শুকনো ফল আপনার শরীরের যন্ত্রসমূহকে গরম ও স্বাভাবিক রাখে।

বাদাম বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস।

রসুন সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী রসুন। পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন তিন, চার কোয়া রসুন সরাসরি বা রান্নায় ব্যবহার করে খেতে পারেন।

ঘি এবং আঁশ জাতীয় খাবার শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে হজম প্রক্রিয়া বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরের তাপমাত্র বাড়তে শুরু করে।

আরও পড়ুন -  "মটন কষা রেসিপি: ঘরে বসে স্বাদে মজার মটন কষা তৈরি করুন!"

তুলসি আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ থেকে জানতে পারা যায়, শীতকালে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে তুলসি এবং আদার কোনও বিকল্প নাই। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানের শরীরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টিজ।

স্যুপ জাতীয় খাবার শীত দূর করার জন্য খেতে পারেন স্যুপ বা স্টু। শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম স্যুপের বাটি নিয়ে মজা নিন স্যুপের। এতে শরীর গরম হবে এবং ঠাণ্ডা দূর হবে নিমেষেই। স্যুপে একটু ঝালও যোগ করতে পারবেন। এছাড়া স্যুপ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারি।

কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যে সব খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে বিদ্যমান সেসব খাবার ঠাণ্ডা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। কার্বোহাইড্রেট শরীরের থাইরয়েড ও অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি গুলোতে পৌঁছে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন করে। ঠাণ্ডা অনেকাংশে কমে যায়।