কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী কৈলাশ গেহলট আজ দিল্লি মেট্রোর পিঙ্ক লাইনে চালকবিহীন ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাপনা (ইউটিও)-এর উদ্বোধন করেছেন। অনুষ্ঠানের ভাষণে শ্রী পুরী জানান, বিশ্বের বৃহত্তম চালকবিহীন মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দিল্লি মেট্রো এক ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি মোট্রোয় প্রথম চালকবিহীন ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাপনার সূচনা করেছিলেন। তখন ম্যাজেন্টা লাইনে এই চালকবিহীন ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর ১১ মাসের মধ্যে পিঙ্ক লাইনে ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল পথে এই চালকবিহীন ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে। দিল্লি মেট্রোর কর্মী এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপের সাহায্যে এবং সুস্থায়ী গণ পরিবহণের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। তিনি দেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিকাশের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এর ফলে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে এবং যাত্রীদের দৈনন্দিন শহুরে অভিজ্ঞতায় এক অমূল্য সম্পদ হয়ে যাকবে।
শ্রী পুরী জানান, এখন দিল্লি মোট্রোয় মোট ৯৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে চালকবিহীন মেট্রো চলাচল করবে। এর ফলে, দিল্লি মোট্রো এখন চালকবিহীন মেট্রো পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন শ্রী পুরী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রাক কোভিড পর্বে দিল্লি মেট্রোতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৬৫ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতেন। এবার শীঘ্রই এই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মেট্রোতে যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পেলে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমবে এবং দূষণের মাত্রা কমার পাশাপাশি যানজটের সমস্যা দূর হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রী দুর্গাশঙ্কর মিশ্র, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ডঃ মাঙ্গু সিং এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ পিআইবি