খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল শ্রী জি সি মুর্মুর লেখা ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন আজ (২৮শে জুলাই) The Tribune – এ প্রকাশ পেয়েছে। উপ-রাজ্যপালের একই ধরনের বিবৃতি এর আগেও The Hindu’তে গত বছরের ১৮ই নভেম্বর; NEWS-18 এ গত বছরের ১৪ই নভেম্বর; Hindustan Times – এ গত মাসের ২৬ তারিখ এবং Economic Times (e-Paper) – এ আজও প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ ধরনের বিবৃতিগুলিকে ব্যতিক্রমী হিসাবে বিবেচনা করেছে এবং এ সম্পর্কে বলতে চায় যে, সাংবিধানিক ব্যবস্থার আওতায় ভোট গ্রহণ সংক্রান্ত দিনক্ষণ সম্পূর্ণভাবেই কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত। নির্বাচনের দিনক্ষণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে কমিশন একটি এলাকার বা কোনও অঞ্চলের সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় বা ঘটনা, যেমন – সেখানকার আবহাওয়া, আঞ্চলিক ও স্থানীয় উৎসবের সঙ্গে জড়িত সংবেদনশীল বিষয় প্রভৃতি দিক বিবেচনায় রাখে। উদাহরণ-স্বরূপ বলা যেতে পারে, কোভিড-১৯ জনিত বর্তমান পরিস্থিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ভোট সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কমিশন গুরুত্ব দিয়েছে এবং দিচ্ছে। একইভাবে, সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টিকেও কমিশন বিবেচনায় রাখছে। কোনও একটি এলাকা বা অঞ্চলে নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রেল কামরার ব্যবস্থা সহ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া, বিভিন্ন ভোট সরঞ্জামের যোগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রাখা হয়। কমিশনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা সুচিন্তিত ও বিচক্ষণভাবে সমগ্র পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভোট গ্রহণের বিষয় নিয়ে আলোচনা তথা মূল্যায়ন করার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রয়োজন-ভিত্তিতে কমিশন যেখানে বা যে রাজ্যে ভোট হতে চলেছে, সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যায়। এমনকি, সেখানকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সমগ্র ভোট প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে। তাই, নির্বাচন কমিশন বাদে অন্য যে কোনও কর্তৃপক্ষ বা আধিকারিকের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। প্রকৃত পক্ষে এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া বা প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করার সামিল। সূত্র – পিআইবি।