লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নথি সংক্রান্ত নিয়মের কিছুটা সরলীকরণ করা হল। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সাধারণ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর জন্য নাম অনুমোদন করতে হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের তরফে জেলা গুলিকে এমনটাই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। নয়া নির্দেশিকার ফলে অসম্পূর্ণ আবেদন পত্র নিয়ে জটিলতা অনেকাংশেই কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে নবান্নে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় আট লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ভ্যালিডেশন না থাকায় রাজ্যের আর্থিক সুবিধা পাঠানোর পরেও তাদের সুবিধা দেওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি ২৬ লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীদের আবেদন অসম্পূর্ণ হয়েছিল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করা হয়।
রাজ্যের নির্দেশিকা অনুসারে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। নয়া নির্দেশিকা অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আবেদনকারীরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য নাকি, তা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাচাই করে দেখা হবে। সমস্ত কিছু তথ্য বিশদভাবে যাচাই করার পর উল্লিখিত নথিগুলি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তবেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন তাদের আবেদন অনুমোদন করবে।
এর আগে সমস্ত মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দেওয়ার জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করতে গেলে আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র নথিগুলি অবশ্যই থাকতে হবে তবেই আবেদনকারীদের আবেদন অনুমোদিত হবে। যাদের এই নথি গুলি যথাযথ ভাবে থাকবে না তারা কোনভাবেই লক্ষী ভান্ডারের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।