খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে অভিযোগ করা হয়েছে যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিনের ক্রমবিন্যাস করার বিষয়টি ভারতের দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। যদিও করোনার প্রকোপ যথেষ্ট বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, এ পর্যন্ত খুব স্বল্প পরিমাণে জিনের ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, প্রতিবেদনে উদ্ধৃত ক্রম সংখ্যা ভারতের কোভিড-১৯ জিনোম সার্ভেলেন্স পোর্টাল থেকে নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়। তবে এই সংখ্যা নমুনা সংগ্রহের তারিখ থেকে একটি নির্দিষ্ট মাসে তা উল্লেখ করে না। ইনসাকগ কনসোর্টিয়ামের ল্যাবরেটরি দ্বারা ক্রমানুসারে নমুনা গুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পাঠানো নমুনার ওপর নির্ভর করে।
কোন মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিং এর জন্য কত নমুনা পাঠানো হয়েছে তা নিম্নোক্ত তালিকা থেকে জানা যাবে।
জানুয়ারি-২১- নমুনার সংখ্যা- ২২০৭।
ফেব্রুয়ারি-২১- নমুনার সংখ্যা-১৩২১।
মার্চ-২১- নমুনার সংখ্যা- ৭৮০৬।
এপ্রিল-২১- নমুনার সংখ্যা- ৫৭১৩।
মে-২১- নমুনার সংখ্যা-১০৪৮৮।
জুন-২১- নমুনার সংখ্যা- ১২২৫৭।
জুলাই-২১- নমুনার সংখ্যা- ৬৯৯০।
আগস্ট-২১- নমুনার সংখ্যা- ৬৪৫৮।
এছাড়াও, ইনসাকগ ল্যাবরেটরি দ্বারা নমুনার প্রাথমিক অংশ সিকোয়েন্সিংএর উদ্দেশ্যই হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মধ্যে ভেরিয়ান্ট অফ কন্সার্ন শনাক্ত করা।
মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং দিল্লির মতো কয়েকটি রাজ্যে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কোভিডের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদর্ভের ৪ টি জেলা, মহারাষ্ট্রের ১০ টি জেলা এবং পাঞ্জাবের ১০ টি জেলায় জিনোম সিকোয়েন্সিং এর কাজ বাড়ানো হয়।
তবে, প্রতিমাসে ৩০০ টি নমুনাই পরীক্ষা করা হবে এমন কোন কথা নয়।
বর্তমানে সারাদেশের এমন ৮৬ টি জেলা রয়েছে যেখানে সপ্তাহে একটাও নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নেই।
বিগত এক মাস ধরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া গেছে কেরালা এবং মহারাষ্ট্র থেকে। বর্তমানে মোট ৪৫ হাজার নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৩২ হাজারই কেরালা এবং ৪ হাজারের বেশি মহারাষ্ট্র থেকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশ এই দুটি রাজ্য থেকে মিলছে। বাকি ২০ শতাংশ দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ৯০৬৬ টি নমুনা সেন্টিনেল সাইটে পাঠানো হয়েছে। আর আগস্ট মাসে পাঠানো হয়েছে ৬৯৬৯ টি নমুনা। সূত্রঃ পিআইবি।